পোস্টগুলি

নবীজীর জন্য মাগফেরাতের দোয়া

হুজু র সাল্লাল্লাহু আলাইহি   ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের   জন্য মাগফেরাতের দোয়া   আল্লামা তহত বী রহ. বলেন , হুজুর আকদাস সাল্লাল্লা হু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাসের জন্য تسامح      বা مغفرت -এর দোয়া জায়েজ হওয়া অনুচিত। “মাগফেরাত বা তাসামুহ” উভয় শব্দের আভিধানিক ব্যবহার হল কৃ ত ভুলের ক্ষমার জন্য। অর্থাৎ নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লা হু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের জন্য -           غفر الله له سامحه اللهم اغفر له   এরূপ বলা যাবে না। কেননা এরূপ বাক্য ব্যবহারের ব্যাখ্যায় নাউযুবিল্লাহ এরূপ বলা সম্ভব যে, তিনি সাল্লাল্লা হু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম জীবনে কোনো বিচ্যুতির শিকার হয়েছেন। কিতাবের লেখক মুহতারাম মাওলানা মাসউদ আযহার দা.বা. বলেন , আমিও মনে করি এরূপ দোয়া নাজায়েজ হওয়াই বাঞ্ছনীয়। যথা নবী কারীম সাল্লাল্লা হু আলাইহি ওয়া আ লিহি ওয়াসাল্লাম নিজের জন্য প্রতিদিন শতবার ইস্তেগফার করতেন অথচ তিনি মা সুম ছিলেন। আরো দৃষ্টান্ত- না বা লেগ শিশুর জানাজায় তার জন্য ইস্তেগফার করা হয়। তথাপিও যেহেতু সাধারণত মাগফিরাতে...

হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য “রহমত” বলে দোয়া করা

  হুজুর সাল্লাল্লা হু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য “রহমত” বলে দোয়া করা ر   ح م ক্রিয়ামূল থেকে তৈরি দোয়ামূলক বাক্য যেমন:- اللهم ارحمه رحمة اللهِ عَلَيْهِ عَلَيْهِ الرحمة ইত্যাদি নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লা হু আলাইহি ও য়া আলিহি ওয়াসাল্লামের জন্য দোয়া হিসেবে ব্যবহারের বিধান সম্বন্ধে আহলে ইলম ওলামায়ে কেরাম থেকে একাধিক মত পাওয়া যায়। আল্লামা ইবনে আবদুল বার রহ. রহমত শব্দ থেকে তৈরি বাক্যাবলি দ্বারা নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লা হু আলাইহি ওয়া আ লিহি ওয়াসাল্লামের জন্য দোয়া করা বৈধ মনে করেন না। তার এই বক্তব্যের সাথে অনেকভাবে দ্বিমত পোষণ করা যায়। যেমন : ( ক ) তাশাহুদে “ রহমত ” শব্দ দ্বারা দোয়ার উল্লেখ রয়েছে। السلام عليك ايها النبي ورحمة الله وبركاتة ( খ) এক গ্রামীণ সাহাবী এভাবে দোয়া করেছিলেন , محمدا اللهم ارحمنى و   সাহাবীর দোয়া শুনে নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্ল াম কোনো প্রকার নিষেধ বা মন্তব্য না করায় মৌনসম্মতি প্রদানপূর্বক এ বাক্যটিও হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। ( গ) নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের নিজের কতক দোয়াও বিষয়ট...

সালাম-এর বিধান

সালাম - এর বিধান অধিকাংশ আলেমের মতে সালামের হুকুম ও বিধান উপর্যুক্ত প্যারায় [ পূর্বের পোস্টে প্রকাশিত ] বর্ণিত সালাতের বিধানের ন্যায়। সুতরাং কোনো নামপুরুষ ব্যক্তির ক্ষেত্রে তার নামোল্লেখপূর্বক عَلَيْهِ السَّلَامُ   আলাইহিস্ সালাম বলা ; অথবা আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালাস ব্যতীত কারো নামে আলাইহিস ্ সালাম বলা বৈধ হবে না। বলা যাবে না। তবে মধ্যমপুরুষকে السلام عليكَ - السَّلَامُ عَلَيْكُمْ - سَلَامٌ عَلَيْكُم : "আস্স্সালামু আলাইকা বা আসসালামু আলাইকুম বা সালামুন আলাইকুম" বলা জায়েজ। প্রশ্ন দেখা দেয়- নামাজে “আস ্সালামু আলাইনা ওয়া ‘আলা ইবাদিল্লাহিস্ সালেহীন ” যখন বলি , এতে উভয় শর্তই লঙ্ঘিত হয়। অর্থাৎ ‘আলাইনা’ বলার কারণে উত্তমপুরুষবাচক সর্বনাম থাকায় মধ্যমপুরুষের শর্ত এবং ‘ই বা দিল্লাহিস সালিহীন’ বলার মাধ্যমে আম্বিয়া ব্যতীত অন্যদের উদ্দেশ্য না করার শর্ত উভয়টাই লঙ্ঘিত হল। এর উত্তরে বলব , এটা একটা বিশেষ স্থান অর্থাৎ শুধু নামাজে প্রযোজ্য। তাছাড়া ইবাদিল ্লা হ (আল্লাহর বান্দাগণ) শব্দটি সরসরি আসেনি বরং ‘আলাইনা’ সর্বনামের অধীন হয়ে এসেছে। অতএব অধীন হিসেবে উম্মত যুক্ত থাকা অনুমোদিত- সেই ...

আম্বিয়া আ. ব্যতীত অন্য কারো বেলায় “সালাত” শব্দের ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়ার দলিলসমূহ

আম্বিয়া আ. ব্যতীত অন্য কারো বেলায় “সালা ত” শব্দের ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়ার দলিলসমূহ ১. “সালাত ” শব্দটি হজরত আম্বিয়া আ.গণের সম্মান-মর্যাদা প্রকাশক একটি বিশেষ প্রতীকে পরিণত হয়েছে। তাই তাঁরা ব্যতীত অন্য কারো বেলায় শব্দটি বলা যাবে না ; বা ব্যবহার করা যাবে না ; যদিও শাব্দিক অর্থের বিবেচনায় ব্যবহার সঙ্গত। ঠিক যেমন مُحَمَّد عَزَّ وَجَل   বলা হয় না। অথচ হুজুর আকদাস সাল্লাল্লা হু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামও আজিজ ও জলিল - মহান ও সম্মা নি ত। কিন্তু যেহেতু প্রশংসার এ দুটি শব্দ আল্লাহ তায়ালার নামের সাথে প্রতীকের ন্যায় যুক্ত হয়ে গিয়েছে, তাই এখন আর অন্য কারো বেলায় বলা যাবে না। ২. এ প্রসঙ্গে এ রূ প আপত্তি উত্থাপন করা যে , আল্লাহ তায়ালা ও রসুল সাল্লাল্লা হু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম নবীগণ ব্যতীত অন্যদের বেলায়ও সালাত শব্দের ব্যবহার করেছেন। আপত্তির প্রতিউত্তর হল, এটা উম্মতের জন্য অনুমোদিত হওয়ার পক্ষে দলিল বিবেচ্য হবে না। আল্লাহ রব্বুল আলামীন ও তাঁর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের অধিকার রয়েছে , যে কারো জন্য- যে কোন বিষয় খাস-স্পেশাল প্রয়োগ করতে পারেন। অন্যদের জন্য অনুম তি ...

উম্মতের জন্য সালাত

উম্মতের জন্য সালাত হজরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম ও ফেরেশতাগণ ব্যতীত অন্যদের উদ্দেশ্যে “সালাত” পাঠ করা যাবে কি-না, এ বিষয়টি নিয়ে ওলামায়ে কেরামের মধ্যে মতের ভিন্নতা ব্যাপক। বলা হয় , যেসব মাস আ লা সম্বন্ধে ওলামায়ে কেরামের ম তভিন্নতা রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম মাসআলা এটি। অন্যদের উদ্দেশ্যে সালাত পাঠ বিষ য় ক আহলে ইলমের মতামত:-   ১/ শর্তহীন জায়েজ। এ মতের স্বপক্ষে প্রমা ণ ক) যেমন আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোর আ নুল কারীমে ইরশাদ করেন: هو الذي يصلى عليكم و ملئكته খ ) নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আ লিহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন: اللهم صل على آل ابی اوفی আয় আল্লাহ! আবু আওফার পরিবারের ওপ র রহ মত বর্ষণ করুন। গ) নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আ লিহি ওয়াসাল্লাম হাত উঠিয়ে বলা : اللهم اجعل صلوتك ورحمتك على ال سعد بن عبادة আয় আল্লাহ! সাদ ইবনে ও বাদার পরিবারের ওপর আপনার পক্ষ থেকে সালাত ও রহমত বর্ষণ করুন। ঘ) সহিহ ইবনে হিব্বান-এ নিচের হাদিসটিকেও সহিহ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ان امرأة قالت للنبي صلى الله عليه وعلى اله وسلم صل على وعلى زوجى ففعل একজন নারী ন...