পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মালফুজাত (২)

১. মুখাপেক্ষিতা নিজ   সিদ্ধান্ত যথেষ্ট মনে করে শায়েখের মুখাপেক্ষিতা ছেড়ে দিও না। যে নিজ অভিমতকে যথেষ্ট ভাবে সে বিভ্রান্ত , লাঞ্ছিত , পদাপসারিত হয়। তোমার আমল , ইখলাস ও বিপদে ধৈর্য ধারণ যাচাই শেষে শায়েখ যখন অনুমতি দেবেন তখন নিজেকে আরো অধিক মুখাপেক্ষী মনে হবে। ২. আমলের গুরুত্ব আমলবিহিন ইলম প্রাণবিহিন শরীরের ন্যায়। ৩. দুনিয়ার পরিচয় দুনিয়া আল্লাহর দুশমন। কি করে তুমি তাকে ভালোবাসতে পার ? প্রিয়পাত্রের-মাশুকের শত্রুর প্রতি তো স্বভাবতই ঘৃণা থাকার কথা। দুনিয়া পুঁতিগন্ধময় একটি বিকৃত লাশ ; কিন্তু ঐশ্বর্য লালসা মোহনীয় সামগ্রী দিয়ে জৌলুসপূর্ণ করা হয়েছে। ফলে অচেতন ধোঁকায় পড়েছে আর সচেতন বুদ্ধিমানরা আকণ্ঠ পঙ্কিলতাময় এই অপবিত্র থেকে যোজন যোজন দূরে সরেছে। ৪. মুরব্বীর যোগ্যতা পরহেজগার হওয়ায় ব্যাপারে সাহায্য এবং সত্য অবলম্বন ও সবর এখতিয়ারের উপদেশ যদি না পাও ; বুঝতে হবে তিনি ইসলাহী মুরব্বী হওয়ায় যোগ্যতা এখনো অর্জন করতে পারেননি। ৫. ঈমানের দৃঢ়তা যে বিশ্বাস করে , " আল্লাহর দৃষ্টি হতে লুকানো সম্ভব নয়" সে নাফরমানী করতে লজ্জাবোধ করে। যে বিশ্বাস করে , " আল্লাহ পাক রিজিক...

মালফুজাত (১)

১. ঈমানের দৃঢ়তা যে বিশ্বাস করে , " আল্লাহর দৃষ্টি হতে লুকানো সম্ভব নয়" সে নাফরমানী করতে লজ্জাবোধ করে। যে বিশ্বাস করে , " আল্লাহ পাক রিজিকের জিম্মাদার" সে রিজিকের পিছনে ছুটে বেড়ায় না। ২. প্রকৃত মনুষ্যত্বের জাগরণ কেবল আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ও গতানুগতিক ধর্মাচরণ দ্বারা প্রকৃত মনুষ্যত্বের জাগরণ সম্ভব নয়। নিজের মধ্যে অবস্থানকারী নফসরূপী শত্রুই শয়তানের বাহন। খোদাভীতির অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাকে পাহারা দিতে হয়। ৩. সবুজ সিগন্যাল রিপু-কামপ্রবৃত্তি তোমার প্রধান শত্রু। এর সবুজ সিগন্যাল না পেলে ইবলিসও তেমন সুবিধা করতে পারে না। সুতরাং অতি ভোজ ও বেপর্দার মাধ্যমে কামকে শক্তিশালী করো না। ৪. গোলাম নয় মাখদুম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হতে খেদমত নেওয়ার জন্য বিবেকের সৃষ্টি ; গোলাম হওয়ায় জন্য নয়। প্রবৃত্তিজাত প্রেম-ভালোলাগা-ভালোবাসা মা ' রেফাতে ইলাহী শূন্য হৃদয়ের ক্যান্সার। প্রতিষেধক হল , দৃষ্টি ও চিন্তাকে সর্বক্ষণ শাসনে রাখা। ৫. হিংস্র প্রাণীর চেয়ে মারাত্মক অন্তরে আল্লাহর ভয় ও পরকাল সম্পর্কে পরিপূর্ণ বিশ্বাস জন্মানো ব্যতীত পশুজীবনের সাথে মানুষের পার্থক্য খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বর...

প্রকৃত বাদশাহ

ইসলামের স্বর্ণযুগের পঞ্চম আব্বাসী খলিফা হারুনুর রশীদ [১৭ মার্চ ৭৬৩ থেকে ২৪ মার্চ ৮০৯;  খেলাফতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর ৭৮৬ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত] একবার হজ আদায়ান্তে উজিরকে (ফজল বরমাক্কী) বললেন, আমার অন্তর চাচ্ছে কোন আল্লাহওয়ালা বুজুর্গের মোলাকাতে ধন্য হই। : জী হ্যা! আবদুর রাজ্জাক চুন‘আনী [৭৪৪ থেকে ৮২৬ ঈ. মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক নামক ফিকহী বাব আকারে সাজানো প্রথম হাদিসের কিতাবের সংকলক, ভলিউম সংখ্যা ৩১] এখানে আছেন। সাক্ষাতের পর কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে বিদায় গ্রহণের সময় উজিরকে ইশারা করলেন। উজির জানতে চাইল, আপনি কি কারো নিকট ঋণী আছেন? বাদশাহর আদেশে উজির ঋণ আদায়ের দায়িত্ব নিল। বাইরে এসে বাদশাহ বলল, মনে তৃপ্তি পাচ্ছি না। এরচেয়ে বড় কোন বুজুর্গের সাক্ষাত চাই। উজির জানাল, হাদিস শাস্ত্রের ইমাম সুফিয়ান ইবনে উওয়াইনা [৭২৫ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি ৮১৪ ঈ.; ইমাম শাফেয়ীর উসতায, বিশিষ্ট তাবে-তাবেয়ী, ইমাম মালেক রহ.-এর মুয়াত্তার অনুকরণে হাদিসের সংকলন করেছেন] এখানে আছেন। সাক্ষাতের পর বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে বিদায় গ্রহণের সময় উজিরকে ইশারা করলেন। উজির জানতে চাইল, আপনি কি কারো নিকট ঋণী আছেন? বাদশাহর আদেশে উজির ঋণ...