পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দুটি রহস্যান্মোচন

  দুটি রহস্যান্মোচন আয়াতে কারিমায় “সালাত”কে আল্লাহ তায়ালা ও ফেরেশতাগণের সাথে সম্বন্ধযুক্ত করা হয়েছে; কিন্তু “সালাম”কে এরূপ করা হয়নি। আর ঈমানদারদেরকে উভয়টার (সালাত ও সালাম) হুকুম দেওয়া হয়েছে। ১. সালামের মধ্যে দুটি অর্থ বিদ্যমান। প্রথম, তাহিয়্যাহ-দোয়া ও মুহাব্বতের প্রকাশ। দ্বিতীয়, আনুগত্যের ঘোষণা। আমাদেরকে সালামের হুকুম দেওয়া হয়েছে। আমরা উভয় অর্থেরই মুহতাজ। উভয় অর্থই আমাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের প্রতি মুহাব্বত প্রকাশ করা এবং তাঁর আনুগত্যের ঘোষণা দেওয়া দুটিই আমাদের কর্তব্য। অপরদিকে, আল্লাহ তায়ালা ও ফেরেশতাগণের জন্য দ্বিতীয় অর্থ (আনুগত্যের ঘোষণা) ঠিক নয়। তাই মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন ও ফেরেশতাগণের সাথে সালামকে সম্বন্ধিত করা হয়নি। এই তাফসিরের ওপর একটি প্রশ্ন এই উঠতে পারে- কুরআনুল কারীমের অন্যত্র আল্লাহ তায়ালার সাথে সালামের সম্বন্ধ রয়েছে। যেমন : “সালামুন আলা ইবরাহিম”। প্রশ্নের দুটি উত্তর। ক. এখানে শুধু তাহিয়্যা অর্থে ব্যবহৃত। খ. আয়াত দ্বারা ঈমানদারদের হুকুম করা হয়েছে- তারা যেন ইবরাহিম আ.-এর ওপর সালাম পাঠায়। ২. “সালাত”-এর মধ্যে “তাহ...

“তাসলিমান”

  “তাসলিমান” সুরা আহযাবের ৫৬ নং আয়াতে সালাম শব্দের সাথে তাসলিমা শব্দ উল্লেখ রয়েছে। تسليما “ তাসলিমা ” শব্দটি আরবি বাক্যবিশ্লেষণ বিধি মোতাবেক মাসদার - ক্রিয়ামূল । বাক্যে পূর্বোক্ত ক্রিয়াপদের অর্থটিতে আরো তাকিদ - গুরুত্বারোপকরণের লক্ষ্যে ব্যবহৃত । প্রশ্ন : সূরা আহযাবের ৫৬ নম্বর আয়াতে সালামের হুকুমের সাথে তাসলিমা শব্দ দ্বারা { গুরুত্বারোপকরণের লক্ষ্যে ব্যবহৃত ক্রিয়ামূল } তাকিদ আনা হয়েছে । আদেশবাচক ক্রিয়া { সালাম পাঠাও }- র অর্থে করা হয়েছে কিন্তু একই আয়াতে “ সালাত পাঠ করো / দুরুদ পাঠাও ” এই আদেশবাচক ক্রিয়াপদটির সাথে তাকিদ / গুরুত্বারোপের জন্য কোন শব্দ ব্যবহার করা হয় নাই - এর কারণ কী ? উত্তর : আলাদা কোন শব্দ ব্যবহার করা ব্যতীতই কয়েকভাবে তাকিদ সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে । ক . আল্লাহ তায়ালা প্রথমে তাঁর নিজের আমল উল্লেখ করেছেন যে , আমি “ সালাত ” প্রেরণ করি । খ . নিজের পর ফেরেশতাগণের আমল উল্লেখ করেছেন যে , ফেরেশতারা সালাত প্রেরণ করে । গ . ফেরেশতাগণের উল্লেখ করতে গিয়ে বহুবচন শব্দ ব্যবহার করেছ...

ওয়া সাল্লিমু তাসলিমা

ওয়া সাল্লিমু তাসলিমা وسلموا تسليما – এর প্রথম উদ্দেশ্য তো উপরে বর্ণিত হল , তোমরা তাঁর প্রতি সালাম পাঠাও , বলো - السلام عليك ايها النبي । অন্য বর্ণনায় وسلموا تسليما – এর অর্থ করা হয়েছে তোমরা তাঁর বিধি - বিধানের অনুসরণ করো । অর্থাৎ খুব ভালোভাবে তাঁর আনুগত্য প্রকাশ করো । শাব্দিক অর্থ হিসেবে এ অর্থও সঠিক । বর্ণনা ও আমলের পরম্পরা হিসেবে প্রথম অর্থই শক্তিশালী এবং অধিকাংশ আহলে ইলমের মতও এটা ।   আল্লাহ তায়ালার সালাম বলা السلام عليك ايها النبي বাক্যটি ব্যাকরণ অনুযায়ী সংবাদমূলক - জুমলায়ে খবরিয়া হলেও উদ্দেশ্য দোয়া । আমরা নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের জন্য আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করি । হে আল্লাহ ! আপনি নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামকে সালামতি - শান্তি ও নিরাপত্তা দান করুন । প্রশ্ন হল , আল্লাহ তায়ালা নিজেও এ বাক্যটি সালাম হিসেবে বলেছেন । السلام عليك ايها النبي উপর্যুক্ত বর্ণনা অনুযায়ী বাক্যটি যদি দোয়ার অর্থেই হয়ে থাকে তাহলে আল্লাহ তায়ালা য...