দুরুদ পাঠের পদ্ধতি
দুরুদ পাঠের পদ্ধতি
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সালাত ও সালামের প্রকৃত আগ্রহ ও বুঝ দান করুন। সালাত ও সালামের হুকুমওয়ালা আয়াতে কারিমা নাজিল হলে সাহাবায়ে কেরাম রাদি. আরজ করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমরা আপনার ওপর সালাত পাঠ করব কীভাবে? আকায়ে দোজাহা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পদ্ধতি শিখালেন, তোমরা বল,
اللهم صل على محمد و على ال محمد كما صليت على ابراهيم و على ال ابراهيم
انك حميد مجيد
اللهم بارك على محمد و على ال محمد كما باركت على ابراهيم وعلى ال
ابراهيم انك حميد مجيد
অর্থাৎ তোমরা বল, হে আল্লাহ! আমরা তো এ মহান কাজের যোগ্য নই; আপনার নিকট দরখাস্ত করছি- আপনি আপনার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর “সালাত” প্রেরণ করুন। অর্থাৎ তাকে ‘মালায়ে আ‘লায়’-ঊর্ধ্ব জগতে আরো অধিক প্রশংসা দান করুন। আপনার অতি বিশেষ রহমত দান করুন। আরো সম্মান ও মর্যাদা দান করুন। এ দ্বারা কয়েকটি বিষয় প্রতিভাত হয়।
১. দুরুদ শরীফ পড়তে হলে “صلوة” সালাত শব্দটির ব্যবহার আবশ্যক। صل-صلى-ইত্যাদি।
২. দুরুদ শরীফ পড়তে হলে- আল্লাহ তায়ালার নাম থাকা আবশ্যক।
اللهم صل على محمد
صلى الله على النبي الامي
صلى الله عليه و سلم
ইত্যাদি।
আল্লাহ তায়ালার নাম উল্লেখ করা ব্যতীত দুরুদ পূর্ণ হয় না। যেমন কেউ বলে الصلاة و السلام عليك يا رسول الله
“আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ”। এই বাক্যের “صلوة”-এর পূর্বে বা পরে আল্লাহর নাম নাই। অথবা কেউ বলল, “আমি নবীর ওপর সালাত প্রেরণ করি” অথবা বলল, “صليت على النبي” ইত্যকার বাক্য পূর্ণাঙ্গ দুরুদ শরীফ হবে না। কেননা আমাদের তো অতবড় দুঃসাহস আর স্পর্ধাই নেই যে আমরা সরাসরি “সালাত” পাঠাব। আমরা তো আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করব যেন তিনি সালাত পাঠান। কাজেই صلوة-সালাত শব্দের সাথে সাথে বাক্যে আল্লাহ তায়ালার নাম থাকা আবশ্যক।
৩. দুরুদ শরীফ ব্যবহারের জন্য সর্বোত্তম হল, আমরের সিগা। কেননা দোয়ার জন্য আমরের সিগাই ব্যবহার হয়। তবে এটা আবশ্যক নয়। মাজি বা অন্যান্য সিগাও ব্যবহার করা যাবে। صلى-صل সবই ঠিক।
৪. আয়াতে কারিমায় আল্লাহ তায়ালা সালাতের যে হুকুম করেছেন তা পূর্ণ হওয়ার জন্য اللهم صل على محمد এতটুকু বলাই যথেষ্ট, এরপর যে যত বৃদ্ধি করবে সাওয়াবও তত বৃদ্ধি পাবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন