পোস্টগুলি

জুন, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সালাত ও সালামের প্রতিযোগিতা

মোকাবেলায়ে হুসন জুমাতুল মোবারকের রাত ও দিনে আমাদের জামাতে একটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় । এই প্রতিযোগিতার নাম দেওয়া হয়েছে “ মোকাবেলায়ে হুসন ” । প্রতিযোগিতার বিষয় হলো অধিক দুরুদ ও সালাম পাঠ এবং জুমা আদায়ের জন্য আগে আগে মসজিদে পৌঁছা । নিঃসন্দেহে দুরুদ শরীফ ও সালাম শরীফের আধিক্য দ্বারা মুসলমানের সব জিনিসেই “ হুসন ” ( উত্তমতা ) নসিব হয় । ঈমানের মধ্যেও আরো হুসন - মজবুতি আসে । আমলের মধ্যেও হুসন - সৌন্দর্য্য ও প্রবৃদ্ধি আসে । দুরুদ শরীফের সুঘ্রাণ অন্তর থেকে গোনাহের দুর্গন্ধ ও স্থূলতা দূর করে । আলহামদুলিল্লাহ আমাদের প্রতিযোগিতায় অনেক বেশি অংশগ্রহণ হয় । অনেকে হাজার হাজার বার দুরুদ ও সালাম পাঠের সংবাদ পাঠান - মন আনন্দে ভরে যায় । আগে আগে মসজিদে যাওয়ার ব্যাপারেও অনেকে হিম্মত করেন । আজকাল চারিদিকে শুধু ফেতনা আর ফেতনা । এই ফেতনা থেকে হেফাজতের জন্য আল্লাহ তায়ালা জুমার দিনে ও জুমার দিনের আমলের মধ্যে বিশেষ প্রভাব - শক্তি রেখেছেন । দুনিয়া ও দৌলতের মহব্বত মানুষকে বে - আকল ও বে...

প্রেমাষ্পদের দিদার লাভের উসিলা

  প্রেমাষ্পদের দিদার লাভের উসিলা আলহামদুলিল্লাহ, আজকের যুগেও প্রকৃত মুসলমান বিদ্যমান আছেন এবং কেয়ামত অবধি থাকবেন , ইন শা ’ আল্লাহ । প্রকৃত মুসলমানের একটি মৌলিক বড় নিদর্শন হলো আকায়ে মাদানী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের প্রতি মহব্বত । এটা ঈমানের আবশ্যকীয় আলামত । আলহামদুলিল্লাহ, আজও এমন মুসলমান আছেন যিনি আকায়ে মাদানী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের ইজ্জত , আবরু , সম্মান , মর্যাদা রক্ষার খাতিরে নিজের জীবন বাজি রাখাকে মহান সৌভাগ্য মনে করে । এমন প্রকৃত মুসলমানও আছেন যিনি হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের মহব্বতে নিজের সমুদয় সম্পদ খরচ করতে দ্বিধা করবে না । এমনও আছেন স্বপ্নযোগে হজরত আকায়ে মাদানী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের জাতে মোবারকের “ মুহূর্ত - দর্শনের ” আশায় বিভিন্ন প্রকার সাধনা , ওজিফা আদায় ও আমল করে চলেছেন নিরন্তন । এবং বড় বড় সদকাও আদায় করছেন । বালাকোটের এক মকবুল আল্লাহওয়ালা বুজুর্গ আমাদের শায়েখ হজরত আকদাস মুফতি...

কেয়ামতের প্রস্তুতি হিসেবে দুরুদ শরীফ পাঠ করুন

  কেয়ামতের প্রস্তুতি হিসেবে দুরুদ শরীফ পাঠ করুন আল্লাহ তায়ালার হাবীব হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন , জুমার দিন ও জুমার রাতে আমার ওপর অধিক দুরুদ শরীফ পাঠ করো । أكْثِرُوا عَلَيّ مِنْ الصَّلَاةِ فِيْ يَوْمِ الجُمُعَةِ [সুনানুল কুবরা লিল বাইহাকী : ৫৯৯৪] আল্লাহ তায়ালার রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন : “ তোমাদের দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিনটি সর্বোত্তম । এ দিনে আদম আ . সৃষ্টি হয়েছেন । এ দিনেই তাঁর ইন্তেকাল হয়েছে । এ দিনেই সিঙ্গায় ফুৎকার দেওয়া হবে। এ দিনেই বেহুঁশ হবে। এদিনে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দুরুদ পাঠ করো। নিশ্চয়ই তোমাদের দুরুদ আমার নিকট   পেশ করা হয়। إنَّ مِنْ أفْضَلِ أيَّامِكُمْ يَوْمَ الجُمُعَةِ، فِيْهِ خُلِقَ آدَمُ، وَفِيْهِ قُبِضَ، وَفِيْهِ النَفْخَةُ، وَفِيْهِ الصَعْقَةُ، فَأكْثِرُوْا عَلَيَّ مِنْ الصَلَاةِ فِيْهِ، فَإنَّ صَلَاةَكُمْ مُعْرِضَةٌ عَلَيَّ [সুনানুল কুবরা লিল বাইহাকী : ৫৯৯৩] আহলে ইলমগণ এই হাদিসের সনদকে সহিহ বলেছেন। কেয়ামত ও কেয়ামতপূর্ব ভয়াবহতায় দুরুদ শ...

যা বন্ধু থেকে দূরে রাখে

যা বন্ধু থেকে দূরে রাখে জুমাতুল মোবারকের রাত ও দিনের দুরুদ শরীফ ‘অনেক বড় নেয়ামত’। যেহেতু হজরত আকায়ে মাদানী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম নিজেই বলে দিয়েছেন এই রাত ও দিনে আমার ওপর অধিক দুরুদ পাঠ করো। অতএব এই দুরুদ পাঠ ‘অনেক বড় নেয়ামত’ এ নিয়ে শক-সন্দেহের অবকাশ কোথায়? হাদিসের এই ইরশাদ তো আমাদের প্রত্যেককে মদীনায় ডেকে নিয়ে আদেশ করারই মতো। কেননা হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের আম-অর্থবোধক প্রতিটি হাদিসই প্রতিজন উম্মতের জন্য। তাঁর প্রতিটি গোলামের প্রতি নির্দেশস্বরূপ। এরপরও অলসতা আর গাফলতের সুযোগ কোথায়? আমিরে শরীয়ত হজরত মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ বোখারী রহ. বলেন, এক তাঁতী হজরত খাজা গোলাম ফরিদ রহ.-এর মুরিদ ছিলো। সে প্রতি বছর একবার নিজ শায়খের সাথে মোলাকাতের জন্য আসত। এসে নিজ হাতে বয়নকৃত একটি লুঙ্গিও হাদিয়া হিসেবে শায়খের সামনে পেশ করত। একবছর সে আসে নাই। পরের বছর আসার সময় দুটি লুঙ্গি নিয়ে আসল। হজরত জিজ্ঞাসা করলেন, গত বছর আসো নাই কেন? সে বলল, হজরত লুঙ্গি বানাতে পারি নাই- তাই। হজরত লুঙ্গি দুটি আগুনে ফেলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বললেন, “যে জিনিস বন্ধু থেকে দূরে রাখে তাতে আগুন...

ফজিলতই ফজিলত

ফজিলতই ফজিলত আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দুরুদ ও সালামের সহিহ বুঝ ও এর আগ্রহ দান করুন । জুমার দিন ও রাতের সাথে সালাত ও সালামের অতি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে । জুমার দিন ও রাতে অধিক “ সালাত ও সালাম ” পাঠ বিষয়ক হাদীসে যত বর্ণনা রয়েছে সব যদি আমরা পড়ি , নতুন এক আশ্চর্যের সমুদ্রে উত্তাল ঢেউ দেখতে পাব । জুমার দিনেই কেয়ামত আসবে । জুমার দিনের সাথে আমাদের আরও রয়েছে এক বিশেষ সম্পর্ক । তাই জুমার রাত ও দিনে অন্তরের গভীর থেকে সালাত ও সালামের আমল করা চাই । সালাত ও সালাম পাঠকে কোন বোঝা নয় ; বরং নিজের জন্য বিরাট সৌভাগ্য বলে বিশ্বাস করুন । দুরুদ শরীফ পাঠের সময় প্রতি ১০০ বার পর পর নিজের প্রয়োজনাবলি আল্লাহ তায়ালার নিকট পেশ করুন । জুমার রাত বা দিনে পঠিত প্রতি ১০০ দুরুদ শরীফ আখেরাতে ৭০ ও দুনিয়ায় ৩০টি প্রয়োজন পূরণের কারণ হয় । দুরুদে ইবরাহিমী অবশ্যই পড়বেন । এরপর এর সাথে যে কোন দুরুদ শরীফ পড়ুন । অনেক বুজুর্গের নিম্নোক্ত দুরুদ শরীফটি জুমার রাতে ১০ বার জুমার দিনে ১০ বার...