পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দুরুদে সালাত শব্দ থাকা আবশ্যক সালামে থাকবে س ل م

  দুরুদে সালাত শব্দ থাকা আবশ্যক সালামে থাকবে س ل م আল্লাহ তায়ালা হুকুম করেছেন , صلوا عليه ( সল্লু আলাইহি )। হুজুর আকদাস সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম এই খোদায়ী ফরমান আদায়ের পদ্ধতি শিখিয়েছেন, তোমরা বল- " اللهم صل على محمد" ( আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ )। যদ্বারা প্রমাণ হয়, এই হুকুম আদায়ের জন্য صلاة   ( সালাত ) শব্দ থাকা ( শব্দের গঠন যেরূপই হোক- صل   / صلى ইত্যাদি )আবশ্যক। সুতরাং কেউ যদি اللهم عظم محمدا    ( সালাত শব্দের পরিবর্তে অনুরূপ অর্থ  প্রদানকারী যে কোন শব্দ )   বলে এ দ্বারা সালাতের হুকুম আদায় হবে না। যদিও সেটা নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের জন্য পৃথক একটা দোয়া হয়। وسلموا تسليما অর্থাৎ তোমরা এভাবে বলো, السلام عليك ايها النبى অথবা এরূপ সালামের অন্য কোন শব্দ। যেমন : اللهم سلم على محمد

দোয়ামূলক শব্দ উত্তম

দোয়ামূলক শব্দ উত্তম হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের ওপর দুরুদ পাঠে দোয়ার অর্থে ব্যবহৃত আদেশসূচক শব্দ ব্যবহার করা অতীতসূচক শব্দ ব্যবহারের চেয়ে উত্তম। তবে এক্ষেত্রে প্রশ্ন জাগে, মুহাদ্দিসিনে কেরাম হাদিস পড়া-পড়ানোর সময় অতীতসূচক শব্দ ব্যবহার করেন কেন? যেমন:- قال رسول الله صل الله عليه و اله و سلم قال النبي صل الله عليه و اله و سلم ”সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম” এ প্রশ্নের উত্তর হল, হাদিস বর্ণনার সময় যদি দোয়ার অর্থে ব্যবহৃত আদেশসূচক শব্দ ব্যবহার করা হয় তাহলে ভিন্ন গঠনের বাক্য হওয়ায় কথার/বক্তব্যের ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হবে। মাঝে পূর্বাপর সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন একটি পৃথক বাক্য সৃষ্টি হবে।সঙ্গত কারণেই ভাষার অলংকারিক গুণ ও বাক্যের পরম্পরা রক্ষার্থে অতীতসূচক শব্দের মাধ্যমে দুরুদ পাঠই হাদিস পড়া-পড়ানোর সময় সার্বিক বিচারে আবশ্যক ছিল।মুহাদ্দিসিনে   কেরাম সেটাই করেছেন। এতে বক্তব্যের ধারাবাহিকতাও ঠিক থাকে এবং শ্রোতার চিন্তাও বিক্ষিপ্ত হয় না।  

“সালাত” আল্লাহ রব্বুল আলামীনের সাথে সম্বন্ধযুক্ত করা আবশ্যক

  “সালাত” আল্লাহ রব্বুল আলামীনের সাথে সম্বন্ধযুক্ত করা আবশ্যক সাহাবায়ে কেরাম রাদি. নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের নিকট সালাত-এর হুকুম তামিল করার পদ্ধতি জিজ্ঞাসা করলে, তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম শিখালেন- “তোমরা আমার জন্য আল্লাহ তায়ালার নিকট সালাত প্রার্থনা কর। সালাতের দোয়া কর।” এ শিক্ষা প্রমাণ করে, সালাতের হুকুম পুরা হওয়ার জন্য শর্ত হল, পাঠকারী সালাতকে আল্লাহ রব্বুল আলামীনের সাথে সম্বন্ধযুক্ত করতে হবে। সম্পৃক্ত করতে হবে। এই হুকুম আদায়ের জন্য “আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ” এটুকু বলা যথেষ্ট। এটুকু যথেষ্ট হওয়ার বিষয়ে হাদিসের সকল বর্ণনা ঐকমত্য। তবে “আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ” বাক্যটির অন্তর্গত ‘সাল্লি’ শব্দটি আদেশসূচক ক্রিয়াপদ যা এ বাক্যে দোয়ার অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। তাই বলে হুকুম আদায়ের জন্য এই দোয়ার অর্থে ব্যবহৃত আদেশসূচক ক্রিয়াপদ ব্যবহার আবশ্যক নয়; বরং এই মূল ধাতু থেকে নির্গত অতীতসূচক বা অন্যান্য শব্দ দ্বারাও দুরুদ পড়া জায়েজ আছে এবং হুকুম আদায়ের জন্যও তা যথেষ্ট। এ কারণেই মাসআলা হল, যে ওলামায়ে কেরামের নিকট নামাজে দুরুদ পড়া ওয়াজিব...