পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

একবার দুরুদ : পঞ্চাশটি পুরস্কার

  اللهم صل على سيدنا محمد واله وسلم تسليما আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাই য়্যিদি না মুহাম্মাদি ও ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম তাসলিমা । একবার দ ু রুদ ও সালাম পাঠ করলে সর্বনিম্ন ৫০টি পুরস্কার লাভ হয় । শাহী পুরস্কার । বরং বলতে হয় শাহেনশাহী পুরস্কার । দশটি বিশেষ রহমত । দশটি নেকি । দশটি দা রাজাত বুলন্দি । অর্থাৎ  জান্নাতে জান্নাতী হিসেবে ক্যাটাগরি দশ ধাপ এগিয়ে যাওয়া। দশটি গুনাহ মাফ । দশটি গোলাম আজাদের সওয়াব । দুরুদ ও সালাম দোয়া । আকা য়ে মাদানী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য আল্লাহ তা‘আলার নিকট প্রার্থনা। দুরুদ ও সালাম ই বাদত । একান্তই আল্লাহ তা‘ আ লার সন্তুষ্টি র নিমি ত্তে কৃ ত ই বাদত । দাতা ও দানকারী শুধু আল্লাহ তা‘ আ লা । মানবম ণ্ডলী ও দুনিয়ার সকল সৃষ্টিসহ ফেরেশতাদেরও আল্লাহ তা‘ আলা ই দান করেন । নবী রাসুলগণ কেও আল্লাহ তা ‘ আলা ই দান করেন । একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার নিকট দোয়া -প্রার্থনা করতে হয় । অন্য কারো নিকট চা ওয়া জায়েজ নেই । اياك نعبد واياك نستعين     [আমরা শুধু তোমারই ই বাদত করি, শুধু তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি, [সূরা ফাতিহা : ...

দুটি সূক্ষ্ম বিষয়

আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দুরুদ প্রেরণ করুন।  اللهم صل على سيدنا محمد وعلى ال سيدنا محمد  দুরুদ শরীফ বিষয়ক দুটি অতি অতি সূক্ষ্ম বিষয় বুঝে নিন। ১. আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর সালাত প্রেরণের হুকুম দিয়েছেন, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হুকুম হিসেবে। উর্দু ও বাংলা ভাষায় ‘সালাত’-এর অনুবাদে ‘দুরুদ’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়। এটা অনুবাদের স্বার্থে ব্যবহৃত একটি শব্দমাত্র। আরবি ‘সালাত’ শব্দে যে ব্যাপকতা রয়েছে, সালাতের অর্থে যে গভীরতা, যে অন্তর্নিহিত ভাব- তা ‘দুরুদ’ শব্দে নেই। ‘দুরুদ’ শব্দ দ্বারা ‘সালাত’ শব্দের যথার্থ হক আদায় সম্ভব নয়। সুতরাং কেউ যদি বলেন, ‘হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর লাখো দুরুদ, কোটি কোটি দুরূদ।’ এ বাক্য দ্বারা তথা ‘দুরুদ’ শব্দ ব্যবহার দ্বারা সালাতের যে হুকুম আল্লাহ তা‘আলা দিয়েছেন তা আদায় হবে না। বরং উক্ত হুকুম আদায় হতে হলে ‘সালাত’ শব্দ থাকতে হবে। যেমন:- اللهم صل على محمد আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ। অথবা صلى الله على النبي الامي সাল্লাল্লাহু আলান নাবীয়্যিল উম্মী। এ জাতীয় বা...

ফরজে আইন

আল্লাহ তা‘আলা হযরত আকায়ে মাদানী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মতকে সকল নেয়ামত অন্যান্য উম্মতের চেয়ে উত্তমটা দান করেছেন। সবচেয়ে উত্তম নবী। সবচেয়ে উত্তম কিতাব। সবচেয়ে উত্তম শরীয়ত। সবচেয়ে উত্তম সময়-যুগ। সবচেয়ে উত্তম আমল। হযরত আকায়ে মাদানী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রয়েছে উম্মতের প্রতি অপরিসীম মহব্বত-ভালোবাসা-অনুগ্রহ। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতের জন্য এমন সব কাজ করেছেন, যা পৃথিবীতে অন্য কেউ কারো জন্য করতে সক্ষম নয়। পরকালেও সক্ষম নয়। এমনকি তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতের আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্নাকে নিজের আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্নায় পরিণত করেছেন। উম্মতের সুখ-দুঃখ, উচ্ছ্বাস-যাতনাকে নিজের সুখ-দুঃখ, উচ্ছ্বাস-যাতনা হিসেবে বরণ করে নিয়েছেন। এরচেয়েও বড় বিষয় হলো, কেয়ামতের কঠিন ময়দানে হুজুরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম امتي امتي উম্মতী! উম্মতী!! হায় আজ আমার উম্মতের কী হবে! আজ আমার উম্মতের কী হবে!! করতে থাকবেন। আল্লাহর প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যদি উম্মতী উম্মতী করে ক্লান্ত না হন তাহলে আমি কেন اللهم صل على سيدنا محمد আ...

রহমত যত চাও অর্জন কর/ হযরত শাহ আব্দুল কাদের কুদ্দিসা সির্রুহু

بسم الله الرحمن الرحيم  পরম করুণাময় দয়ালু দাতা আল্লাহর নামে শুরু।  আল্লাহ তা‘আলা ঈমানদারগণকে হুজুর নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর দুরুদ ও সালাম পাঠের আদেশ দিয়েছেন খুবই গুরুত্ব সহকারে। বিশেষ গুরুত্বসহ কৃত এই নির্দেশটি সুরা আহযাবের ৫৬ নম্বর আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। এরশাদ হচ্ছে :-  ان الله وملائكته يصلون على النبي يا ايها الذين امنوا صلوا عليه وسلموا تسليما  “নিশ্চয়ই আল্লাহ নবীর প্রতি রহমত নাযিল করেন এবং তাঁহার ফেরেশতাগণও নবীর জন্য রহমতের দু‘আ করে। হে মুমিনগণ! তোমরাও নবীর জন্য রহমতের দু‘আ কর এবং তাঁহাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও। ” [সুরা আহযাব : ৫৬]  এই আয়াতে মুবারকাটি উম্মতের ওপর আল্লাহ তা‘আলার মহান অনুগ্রহ। আয়াতটি উভয় জগতের রহমতের ভাণ্ডার। সব মুসলমানের উচিত আয়াতে মুবারকাটি বুঝে তার ওপর আমল করা। হযরত শাহ আব্দুল কাদের কুদ্দিসা সির্রুহু আয়াতে মোবারকার তাফসীরে বলেন, আয়াতের হুকুমটি নামাজে السلام عليك ايها النبي আসসালামু আলাইকা আইয়ূহান্ নাবীউ এবং اللهم صل على محمد বৈঠকে পঠিত দুরুদে ইবরাহিমী দ্বারা আদায় হয়। নামাজে পঠিত তাশাহুদে অন্তর্ভুক্ত এই সাল...