পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মালফুজাত ০৭

০১. কলব হল মারকাজ নবী রসুলগণ মানুষের কলব পরিশুদ্ধ করতেন ; কেননা এটাই মারকাজ। মূলকেন্দ্র ঠিক হলে শাখা-প্রশাখা দুরস্ত হতে সময় লাগে না।   ০২.রুহানী শক্তি আবশ্যক প্রয়োজন পরিমাণ শক্তি-সামর্থ্য ব্যতীত শুধু আকাঙ্ক্ষা দিয়ে যেমন জাগতিক কোন কাজ হয় না ; তেমনি রুহানী শক্তি-সামর্থ্য না থাকলে দীনের ওপর চলা যায় না।   ০৩. বিপরীত দুই হালাতের সহাবস্থানই ঈমান খ‌ওফ ও খশিয়াত ‍(ভয় ও শঙ্কা) এবং রজা ও তামান্না (আশা ও আকাঙ্ক্ষা) সংমিশ্রণে তৈরি আল্লাহ প্রেম‌ই ঈমান।   ০৪. সোহবত জরুরি তাসাউফ বা আত্মশুদ্ধি জ্ঞানগতভাবে অর্জনের বিদ্যা নয় ; বরং এ এমন এক যোগ্যতা যা অর্জন করতে হয় , পরিশুদ্ধ আত্মার সংস্পর্শ ও আমলের মাধ্যমে। ০৫. যে চিনেছে ... যে আল্লাহ তা ' আলাকে পরিপূর্ণ চিনেছে সে তার সর্বস্ব নিয়ে সর্বান্তকরণে আল্লাহ পাকের ইবাদতে মশগুল হয়েছে।   ০৬. কিছু থেকে বিরত থাকে যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রেমিক , সে কেবল তাকে পেলেই রাজি হয় , অন্য কিছুতে নয়। সে শুধু তাঁর‌ই সাহায্য প্রার্থনা করে এবং তিনি ছাড়া সব কিছু থেকে বিরত থাকে। ০৭. তাঁর ভয় তুমি যদি আল্লাহকে চিনতে , তাহলে ত...

নেত্রকোণার একটি মাদরাসার ডাইরির জন্য লিখিত বাণী

জামিয়া ফাতিমাতুয্ যাহরা রা. মহিলা মাদরাসার সাথে অদৃশ্য বন্ধনে আবদ্ধ প্রবন্ধকার অনুবাদক ভাষা প্রশিক্ষক মুফতি হানিফ আল হাদী’র বাণী আজকের শিশু আগামীর স্বপ্ন। জীব বিজ্ঞানের ভাষায়- “মনুষ্য সন্তানের জন্ম এবং বয়ঃসন্ধির মধ্যবর্তী পর্যায়ের রূপ হচ্ছে শিশু”। ‘শিশু’ শব্দটি উচ্চারণ বা শ্রবণমাত্রই আমাদের মনে, মায়া মমতা কোমলতা আদর প্রীতি ভালোবাসা দয়া অনুগ্রহ করুণা-সংমিশ্রিত একটি চিত্রকল্প ভেসে ওঠে। শিশু জীবনের আকাশজুড়ে স্বমহিমায় জ্বলজ্বল করা চন্দ্রটির নাম ‘মা’। শিশু শব্দটির চিত্রকল্পের সাথে উল্লিখিত দশটি বৈশিষ্ট্যের পূর্ণতা সার্থকতা বাস্তবতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে মায়ের চরিত্রে। তাইতো হাদিসের ভাষ্যে, সন্তানের ওপর মায়ের অধিকার বাবার চেয়ে’ বহুগুণ। দায়িত্ব কর্তব্যমুক্ত শিশুর শারীরিক সক্ষমতা ও জ্ঞানগত সমৃদ্ধির লক্ষ্যে আসমানী ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে তাকে দান করা হয়েছে- দুরন্তপনা চপলতা চঞ্চলতা। দুরন্তপনায় বিরক্ত হয়ে, চঞ্চলতায় ধৈর্য হারিয়ে যখন ‘মা’ ‘সন্তান’কে প্রহার করেন তখন কি তিনি ভুলে যান এ আমারই কলজেছেঁড়া ধনের সক্ষমতা সমৃদ্ধির শিকড়ে কুঠারাঘাত? আসসীরাজ কাফেলার মায়েরা যেন এই আত্মঘাতী কুঠারাঘাত না করেন...

আত্মিক উৎকর্ষসাধন ব্যতীত শান্তি অসম্ভব

আত্মা বা রূহ আর সর্বোন্নত কাঠামোসমৃদ্ধ শরীর এ দুয়ের সমন্বিত শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষ। সর্বোন্নত কাঠামোসমৃদ্ধ এ শরীরটার সৃষ্টি অবলম্বনময় এ জগতে। পিতার পৃষ্ঠদেশ থেকে শুরু, মাতৃগর্ভে পূর্ণাঙ্গ রূপদান অতঃপর পৃথিবীনামক পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ ও ধারাবাহিক বৃদ্ধি-ক্ষয়। নির্ধারিত সময়ের পর প্রস্থান এবং কবরজগতে নিঃশেষিত হয়ে পুনরায় পৃথিবীর গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়া। এ জগতে সৃষ্টি হেতু এর প্রয়োজন পূরণের হাজারো উপকরণ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এ জগতেই। জগতময় বিক্ষিপ্ত এই উপাদানসমষ্টি থেকে আমরা খুঁজে নেই শারীরিক সচলতা ও সুস্থতার প্রয়োজনীয় সামগ্রী। বরং সচলতা-সুস্থতার প্রয়োজন পূরণের পর বিলাসিতার সামগ্রী তালাশের জোয়ারেও ভাটার টান লাগতে দেই না। শরীরের ন্যায় আত্মার সুস্থতা-সচলতার জন্যও অবশ্যই প্রয়োজন নির্দিষ্ট প্রকার সামগ্রীর।  আত্মা বা রূহ ইহজাগতিক কোন পদার্থ-অতিপদার্থ জাতীয় কিছু নয়। রূহ হচ্ছে মহান রব্বুল আলামিনের একটি হুকুম। যার প্রকৃতি-বাস্তবতার উপলব্ধি বা জ্ঞান মানব মস্তিষ্ক-সাধ্যের অতীত; এটি ঊর্ধ্বজাগতিক একটি স্থায়ী সৃষ্টি। এ সৃষ্টিটির সুস্থতা-সচলতার কোন আয়োজন ইহজগতে নেই। ইহজাগতিক সৃষ্টি শরীরের সব প্রয়োজন য...

আমি একাই জাহান্নামী

বনি ইসরাইল গোত্রে এক আবেদ ছিলেন। চারশত বছর যাবৎ ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল। একদিন মুনাজাতে বলছেন- আয় আল্লাহ! আপনি যদি পাহাড় সৃষ্টি না করতেন; আপনার বান্দাদের জন্য স্থলপথের ভ্রমণ সহজ হত। জমানার পয়গম্বরের নিকট ওহী অবতীর্ণ হল। নবী এসে আবেদকে বললেন : আল্লাহ তা‘আলার সৃষ্টিতে নাক গলানোর অধিকার তোমায় কে দিয়েছে? অনধিকার চর্চার ফলে আল্লাহ তা‘আলা নেককারদের তালিকা থেকে মুছে তোমার নাম বদকারদের তালিকায় লিখে দিয়েছেন। আবেদ খুশি হয়ে শুকরিয়ামূলক সেজদা আদায় করল। নবী জিজ্ঞাসা করলেন, আরে হতভাগা! এমন চরম দুর্ভাগ্যের খবরে শুকরিয়া-সেজদা আদায়ের অর্থ কী? ‘আমি দুর্ভাগ্যের ওপর শুকরিয়া করিনি; বরং আমার নাম যে আল্লাহ রব্বুল আলামিনের কোন একটা তালিকায় রয়েছে- সেজন্যই আমি শুকরিয়া আদায় করেছি।’ ওহে আল্লাহর নবী! আমার একটি আবদার। আল্লাহ রব্বুল আলামিনের দরবারে আমার এ দরখাস্ত পেশ করুন, যখন আমাকে জাহান্নামে ফেলবেন; যেন আমার শরীর এত বিরাটাকায় করে দেন যে, পুরো জাহান্নাম ভরাট হয়ে যায়- যেন আল্লাহর অন্য সব বান্দা জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাতে যেতে পারে। ওহী আসল, আমার বান্দাকে বলে দাও- তাকে লাঞ্ছিত করার জন্য আমি এই পরীক্ষা নেই ...

মালফুজাত ০৬

০১ . গাফলত আরে গাফেল! কত জানাজায় শরিক হলে , কত লাশ কবরে রাখলে তারপরও মৃত্যুর স্মরণ থেকে গাফেল হও কীভাবে ?  ০২ . ঈমানের স্বাদ তুমি কি এমন ভেবেছো , কোন একদিন তোমার "খাহেশাতে নফসানী" মরে যাবে আর তুমি গুনাহ ছেড়ে দিবে ? নফসের প্রবল চাপ যদি আল্লাহ পাকের ভয়ে উপেক্ষা করতে পারো তবেই না ঈমানের স্বাদ অনুভব হবে।   ০৩ . সময় থাকতে মৃত্যু উপস্থিত হওয়ার পর , কোনো প্রকার সংশোধন ও নেক আমলের সুযোগ থাকবে না ; সময় থাকতে আখেরাতের সম্বল সংগ্রহ করুন।   ০৪ . দুনিয়ার হাকিকত আজ যেই দুনিয়া তোমাকে হাসাচ্ছে , কাল তা ভীষণ কান্নার কারণ হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।   ০৫ . দারিদ্র্যে স্বাদ যে ব্যক্তি   আল্লাহ পাকের প্রেমিক , তার কাছে দারিদ্র্যের তিক্ততা মিষ্টি হয়ে দেখা দেয়। তাই পার্থিব দারিদ্র্য তার সাথে লেগে থাকে এবং সে তা নিয়েই তুষ্ট ও তৃপ্ত। দারিদ্র্যে স্বাদ পাওয়ার সৌভাগ্য সে অর্জন করেছে। দারিদ্র্যেই সে স্বচ্ছলতা ও স্বাচ্ছন্দ্য ভোগ করে। ০৬ . জীবন - মরণ মরার আগেই দুনিয়ার ব্যাপারে তোমাকে মরে যেতে হবে এবং শুধুমাত্র আল্লাহ পাকের ব্যাপার...