পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সালাত ও সালাম কি একত্রে আবশ্যক?

  সালাত ও সালাম কি একত্রে আবশ্যক ?   সালাত ও সালাম উভয়টা একত্রে পাঠ করা কি আবশ্যক ? নাকি পৃথ ক -পৃথকভাবে শুধু সালাত ও শুধু সালাম পাঠ করা যাবে ? ইমাম নবী রহ. বলেন , শুধু সালাত বা শুধু সালাম পাঠ করা মাকরূহ। ইবনে হাজার হায়ছামী রহ. বলেন, ইমাম নববী রহ.-এর এই মাক রুহ দ্বার া উদ্দেশ্য- ‘অনু ত্ত ম’ । আমাদের হানাফী মাজহাবে শুধু সালাত বা শুধু সালাম পাঠ করা জায়েজ- মাকরুহ নয়। তাফসিরে রুহু ল মাআনীর লেখক বলেন , صلوا عليه   وسلموا تسليما এই আয়াত দ্বারা এ ক থা প্রমাণের চেষ্টা করা যে ,   সর্বদা সালাত ও সালাম একত্রে পড়তে হবে- এ ধরনের বক্তব্য খুব দুর্বল মনে হয় । কেননা আ য়া ত দ্বারা প্রমা ণি ত- সালাত পড় এ বং সালাম পাঠা ও । অর্থ াৎ উভয় আ মলের হুকুম প্র মা ণি ত কি ন্তু এ কথা প্রমা ণিত   হয় না যে , সব সময় উভয় কাজ একত্রে করতে হবে। অতএব কেউ যদি সকালে সাল াত পাঠ করে আর বিকালে সালাম পাঠ ায় সেও আয়াতের ওপর পূর্ণ আমলকারী হয়ে গে ল। أقِيمُوا الصَّلوةَ وَآتُوا الزَّكوة   অথবা   أذْكُرُوا اللهَ ذِكْرًا এখানে প্রথম আয়াতে নামাজ ও জাকাতের হুকুম, দ্বিতীয...

হাদীসে বর্ণিত নয় এমন দুরুদ পড়া জায়েজ

  হাদীসে বর্ণিত নয় এমন দুরুদ পড়া জায়েজ সাহাবায়ে কেরাম রাদি-এর অনেকে এবং তাদের পরবর্তী আইম্মায়ে কেরাম রহ.-এর নিকট দুরুদ শরীফের মর্তবা লাভ ও অনুমোদিত হওয়ার বিষয়টি শুধু হাদীসে বর্ণিত দুরুদ শরীফের সাথে সীমাবদ্ধ নয়। আল্লাহ তায়ালা যদি কাউকে আরবি ভাষায় পারদর্শিতা দান করেন এবং সে সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ অলংকারপূর্ণ ভাষায়   দুরুদ শরী ফ রচনা করতে সক্ষম হয় যদ্ধারা হুজুর আকদাস সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের সুউচ্চ মর্যাদা, মহান সম্মান-হুরমত ও শান প্র কাশ পায় তবে তা রচনা করা, আবৃত্তি করা অবশ্যই জায়েজ । এর প্রমা ণ হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদি-এর ফরমান। তিনি বলেন , যখন তোমরা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আ লিহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে দুরুদ শরীফ পেশ করবে অত্যন্ত উত্তম পছন্দনী য়ভাবে পেশ করবে। শ্রোতারা আরজ করল, আপনি আমাদের শিখিয়ে দিন। উত্তরে বললেন ,   তোমরা এভাবে বলবে:- اللَّهُمَّ اجْعَلْ صَلَوتِكَ وَرَحْمَتَكَ وَبَرَكَاتِكَ عَلَى سَيِّدِ الْمُرْسَلِينَ وَإِمَامٍ الْمُتَّقِينَ وَخَاتَمِ النَّبِيِّينَ مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَ رَسُولِكَ إِمَامِ الْخَيْرِ وَقَائِدِ ...

“তাসলিমান” বৃদ্ধি করা আবশ্যক নয়

“তাসলিমান” বৃদ্ধি করা আবশ্যক নয় ইবনে আরফাহ রহ. ইবনে আ. সালাম রহ.-এর বরাতে বলেন ,   হজুর আকদাস সাল্লাল্লাহ আলাইহি ও য়া আলিহি ওয়াসাল্লামের ওপর সালাম পাঠের সময় “তাসলিমান”   تسليما     শব্দ যুক্ত করে পড়া আবশ্যক। অর্থ াৎ এভাবে পড়তে اللهم صل على محمد وسلم تسليما -     অথবা صلى الله تعالى عليه وسلم تسليما সম্ভবত তিনি আয়াতে মোবারকার শব্দকে কেব ল শাব্দিকভাবে বিবেচনা করে এ মাসআলাহ উল্লেখ করেছেন। তবে এ বক্তব্য - অর্থাৎ সর্বদা “তাসলিমান” যুক্ত করতেই হবে, তা ঠিক নয়। আ য়া তের ব্যাপারে সামান্য চিন্তা করলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা। আ য়া তে বিদ্যমান تسليما শব্দটি দ্বারা শাব্দিক উচ্চারণ আবশ্যক করা উদ্দেশ্য নয়; বরং শব্দটির মূল অর্থ হলো হুকুমের তাগিদ করা । উম্মতের ওপর সালামের হুকুমটি আদায় করা আবশ্যক তা প্রকাশ করা।

উত্তম দুরুদ

উত্তম দুরুদ নবীজী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়া সাল্লামের ওপর দুরুদ পাঠের সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি ( শাব্দিক বিবেচনায় ) সেটাই যা সাহাবায়ে কেরামের জিজ্ঞাসার জবাবে নবীজী সাল্লাল্লা হু আলাইহি ও য়া আলিহি ওয়াসাল্লাম শিখিয়েছেন। কেননা নবীজী সাল্লাল্লা হু আলাইহি ও য়া আলিহি ওয়া সাল্লাম নিজের জন্য যেটা সবচেয়ে উন্নত ও উত্তম সেটাই পছন্দ করতেন। এ কারণেই আল্লামা নববী রহ. " الروضه " কিতাবে লিখেছেন, কেউ যদি ক সম খায়- সে হুজুর সাল্লাল্লা হু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের ওপর সর্বোত্তম দুরুদ পাঠ করবে , সে যতক্ষণ দুরুদে ইবরাহিমী পাঠ না করবে- তার কসম পুরা হবে না। আল্লামা সু ব কী রহ. বলেন ,   যে ব্যক্তি দুরুদে ইবরাহিমী পাঠ করে সে অবশ্যই দুরুদের যে হুকুম দেওয়া হয়েছে তা পূর্ণ করল। এবং দুরুদবিষয়ক হাদীসসমূহে যত কল্যাণের বর্ণনা রয়েছে সব সে লাভ করবে। উত্তম দুরুদ সম্বন্ধে অন্যান্য বর্ণনা আল্লামা রাফেয়ী রহ. ‘ আল মারুজী ’-এর ব রাতে বর্ণনা করেন, যদি কোন ব্যক্তি কসম খায়- সে সর্বোত্তম দুরুদ শরীফ পাঠ করবে তাহলে, اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ كُلَّمَا ذَكَرَكَ الذَّاكِرُوْن...

সালামের হুকুমও সালাতের সমপর্যায়ের

  সালামের হুকুমও সালাতের সমপর্যায়ের ইবনে ফারেস আললুগাবী রহ. বলেন , স ালামে র হুকুমও সালাতের সমপর্যায়ের। উভয়টাই একই ধরনের ফরজ। কেননা আ য়া তে কারীমায় উভয়টির হুকুম করা হয়েছে। আয়াতে আদেশবাচক ক্রিয়াপদ “আমর”   উল্লেখ করা হয়েছে। উ সু ল হলো, “আমর”   দ্বারা ফরজই সাব্যস্ত হয় ; তবে যদি অন্য কোন বিধান তার বিপরীত থাকে তখন বিষ য়টি ফুকাহায়ে কেরামের পর্যালোচনা সাপেক্ষ হয়ে যায়। অর্থাৎ সালামও জীবনে একবার প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ। এরপর যে যত বেশি পেশ করতে পারবে সেটা তার জন্য ততবেশি সাও য়াব ও উচ্চ মর্যাদা লাভের কারণ হবে।

সালাত ওয়া সালাম ফরজ : এর সাতটি ব্যাখ্যা

সালাত ও য়া সালাম ফরজ এর সাত টি ব্যাখ্যা   ক } জীবনে একবার ফরজ। কালিমায়ে তাইয়্যেবার মতো। ক া লিমায়ে তাইয়্যেবাও জীবনে একবার ফরজ । কে ননা আম রে মু তলাক- যে হুকুম কোন নির্দি ষ্ট -উপলক্ষ-নির্ধারণ ব্যতীত দেওয়া হয় -তা তাকর ারের তাকাযা করে না- বারংবার আদায়ের দাবি সে হুকুমের অন্তর্ভুক্ত হয় না। একবার আদায়ের দ্বারাই হুকুম পালন হয়ে যায়। এটাই জ মহু র-অধিকাংশ ওলামার মত। ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম মালেক রহ.ও এ ই মতই দিয়েছেন। খ} শুধু নামাজের শেষ বৈঠকে ফরজ। গ} প্রত্যেক নামাজে ফরজ। হাম্বলী মাযহাবের কিছু ইমামের ম তে সালাত ও সালাম নামাজের শুরুতে পাঠ্য দোয়াসমূহের একটি। প্রত্যেক নামাজে ফরজ দ্বারা এ মতটিকে ই বোঝানো হয়েছে। ঘ} কোন সংখ্যা বা সময় নির্ধারণ ব্যতীত অধিক পাঠ করা ফরজ। এ মতটি দিয়েছেন কাজী আবু বকর বিন বুকাইর রহ. । ঙ} প্রত্যেক মজলিসে যে খানে রসুল পাক সাল্লাল্লা হু আ লাইহি ও য়া আলিহি ওয়াসাল্লামের আলোচনা হয় একবার ফরজ । যদিও তিনি সাল্লাল্লা হু আলাইহি ওয়া আ লিহি ওয়াসাল্লামের আলোচনা বারবারও হয়। ওয়া জিব একবারই। চ }   প্রত্যেক দোয়ায়- মু নাজাতে ফরজ। ছ }   য খ...

সালাত ও সালামের হুকুম

  সালাত ও সালামের হুকুম صلوا     আর   سلموا –   “ সল্লু ” এবং “ সাল্লিমু" সুরা আহযাবের ৫৬ নম্বর আয়াতের এ দুটি শব্দ দ্বারা ' উ জুব ’ অর্থ াৎ ফরজ হুকুম বুঝানো হয়েছে। ওলামায়ে কেরামের ক ত কে ' ফরজ ' হওয়ার বিষয়টির ওপর আইম্মা ও পূর্ব বর্তী ওলামাদের ইজমা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। মুহাম্মদ ইবনে জারির তাবারী রহ. যে বলেছেন ,   সালাত ও সালামের হুকুমটি মুস্তাহা ব এবং মুস্তাহাব হওয়ার ব্যাপারে ইজমা বিদ্যমান- বক্তব্যটি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। অনেকে অবশ্য বক্তব্যটির ব্যাখ্যা এই করেছেন যে, জীবনে একবার সালাত ওয়া সালাম পাঠের দ্বারা ফরজ আদায় হয়ে যাওয়ার পর বা কি জীবন পাঠ কর া যে মুস্তাহাব ইবনে জা রি র তাবারী রহ. সেই মুস্তাহাবের কথা উল্লেখ করে ছেন। মোদ্দাকথা ,   সালাত ওয়া সালামের হুকুমটি অবশ্যই ফরজ। তবে এই ফরজের আদায় পদ্ধতি নিয়ে ওলামায়ে কেরামের ব্যাখ্যা ভিন্ন ভিন্ন র কম। মোটাদা গে, ওলামায়ে কেরাম থেকে এই ব্যাপারে সাত প্রকার ব্যাখ্যা পাওয়া যায় ।