হাদীসে বর্ণিত নয় এমন দুরুদ পড়া জায়েজ
হাদীসে বর্ণিত নয় এমন দুরুদ পড়া জায়েজ
সাহাবায়ে কেরাম রাদি-এর অনেকে এবং তাদের পরবর্তী আইম্মায়ে কেরাম রহ.-এর নিকট দুরুদ
শরীফের মর্তবা লাভ ও অনুমোদিত হওয়ার বিষয়টি শুধু হাদীসে বর্ণিত দুরুদ শরীফের সাথে
সীমাবদ্ধ নয়। আল্লাহ তায়ালা যদি কাউকে আরবি ভাষায় পারদর্শিতা দান
করেন এবং সে সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ অলংকারপূর্ণ ভাষায় দুরুদ শরীফ রচনা করতে সক্ষম হয় যদ্ধারা হুজুর আকদাস সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের সুউচ্চ মর্যাদা, মহান সম্মান-হুরমত ও শান প্রকাশ পায় তবে তা রচনা করা, আবৃত্তি করা অবশ্যই জায়েজ। এর প্রমাণ হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদি-এর ফরমান। তিনি
বলেন, যখন তোমরা নবী কারীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের
খেদমতে দুরুদ শরীফ পেশ করবে অত্যন্ত উত্তম পছন্দনীয়ভাবে পেশ করবে। শ্রোতারা আরজ করল, আপনি আমাদের শিখিয়ে
দিন। উত্তরে বললেন, তোমরা এভাবে বলবে:-
اللَّهُمَّ اجْعَلْ صَلَوتِكَ وَرَحْمَتَكَ وَبَرَكَاتِكَ عَلَى سَيِّدِ
الْمُرْسَلِينَ وَإِمَامٍ الْمُتَّقِينَ وَخَاتَمِ النَّبِيِّينَ مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ
وَ رَسُولِكَ إِمَامِ الْخَيْرِ وَقَائِدِ الخَيْرِ وَ رَسُوْلِ الرَّحْمَةِ اللَّهُمَّ
ابْعَثْهُ مَقَامًا مَّحْمُودًا يَغْبِطُهُ بِهِ الْأَوَّلُونَ وَ الْآخِرُونَ اللَّهُمَّ
صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَآلِ
إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ
আল্লাহ
তায়ালার আদেশ صلوا عليه وسلموا تسليما - এরমধ্যে একটা গোপন
ভেদ রয়েছে। যা থেকেও সালাত ও সালাম পাঠে অতি উত্তম শব্দ চয়নের (কাব্যধর্মী) প্রতি উৎসাহ পাওয়া যায়। উদ্দিষ্ট
গোপন ভেদটি হল, আয়াতটি কাব্যিক লয়ে নাজিলকৃত। যা বুঝতে হলে আবৃত্তি শিল্পের উচ্চাঙ্গের নিয়ম-নীতি জানা থাকা আবশ্যক।
** এখান থেকে অনুবাদের কয়েকটা পর্ব মদীনা শরীফের মসজিদে কোবায়
বসে করার তাওফিক আল্লাহ তায়ালা দান করেছিলেন, ১৭/০৬/১৪৪৫ হিজরি, শনিবার ইশরাকের পর। শ্রদ্ধেয় পাঠকের নিকট
আরজি, তখন যেমন আমি ঐ মোকাদ্দাস স্থানের শতভাগ অনোপযুক্ত ছিলাম; এখনও তেমনি আছি।
বৃদ্ধি পেয়েছে কেবল এক বছরকালের গোনাহের হিসাব। তবে এও নিশ্চিত সত্য, আমার অতীত
এবং এই এক বছরের গোনাহের চেয়ে মহান মাওলা
পাকের রহমত শত-সহস্র কোটি গুণে বেশি এবং বড়। তাই দোয়া চাই তিনি যেন আবারও নেন।
বারবার নেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন