শিহাব খফ্ফাজী রহ.’র ব্যাখ্যা

শিহাব খফ্ফাজী রহ.’র ব্যাখ্যা

"সালাম" এর মধ্যে কষ্ট না দেওয়ার ঘোষণা রয়েছে। এই আয়াতের পূর্ববর্তী কয়েকটি আয়াতে নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়ালিহি ওয়াসাল্লামকে কষ্ট দেওয়া হয় এমন কয়েকটি বিষয়ে নিষেধ করা হয়েছে। কষ্ট যেহেতু শুধু মানুষই দিয়ে থাকে তাই সালামের হুকুম মানুষকেই দেওয়া হয়েছে। “সালাত”-এর সম্পর্ক আল্লাহ রব্বুল আলামীন ও ফেরেশতাবৃন্দের সাথে হলেও “সালাম”-এর সম্পর্ক শুধু মানুষের সাথে। রুহুল মাআনীতে লিখেছেন, মূলত “সালাম”-এর হুকুম পূর্ব থেকেই ছিল। সাহাবায়ে কেরামেরও জানা ছিল, আল্লাহ  তায়ালা ও ফেরেশতাগণ হুজুর নবী কারীম সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়ালিহি ওয়াসাল্লামকে সালাম পাঠান। এবং সাহাবাদের জন্যও হুকুম ছিল নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়ালিহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি সালাম পাঠ করার-পাঠানোর। যেমনটি হাদীস শরীফে উল্লেখ রয়েছে- এই আয়াতে কারীমা নাজিল হওয়ার পর সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন,  সালামের পদ্ধতি তো আমাদের জানা রয়েছে তবে “সালাম” কীভাবে পাঠ করব? “সালাম”  কীভাবে পাঠাব?

এতে বুঝা যায়- সালামের হুকুম পূর্ব থেকেই বিদ্যমান ছিল। পরে যখন সালাতের হুকুম নাজিল হল তখন সম্ভাবনা ছিল কেউ হয়ত সালাতের এত গুরুত্ব নাজিলের দ্বারা পূর্বোক্ত সালামের বিষয়টিতে গুরুত্ব কম দিবে বা ভাববে, সালাত নাজিল হওয়ার পর বুঝি সালাম গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। তাই আয়াতের শেষাংশে পুনরায় সালামের বিষয়টি তাগিদের সাথে বলে দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে "সালাম" পূর্বের ন্যায় আপন গুরুত্বসহ বহাল রয়েছে আর “সালাত”ও পৃথক গুরুত্বসহ হুকুম নাজিল হল। একটার কারণে অপরটার গুরুত্ব কমে যায়নি والله اعلم بحقيقة الحال     প্রকৃত অর্থ ও উদ্দেশ্য আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

“সকাল বেলার ধনীরে তুই ফকির সন্ধ্যা বেলা”

দুরুদে সালাত শব্দ থাকা আবশ্যক সালামে থাকবে س ل م

দুটি রহস্যান্মোচন