ইবলিসের ইবলিসি
বনি ইসরাঈলে এক আবেদ পাদ্রী ছিল। ইবলিস তাকে প্রতারিত করার ফন্দিতে- ঐ অঞ্চলের এক যুবতীর গলা টিপে ধরল। শয়তানী প্রভাবে মেয়েটি মারাত্মক অসুস্থ হলে বাড়ির লোকজনের মনে ধারণা জন্মিয়ে দিল, পাদ্রীর নিকট রেখে চিকিৎসা করালে সে সুস্থ হবে। পাদ্রী প্রথমে নিজ হেফাজতে রাখতে অস্বীকার করলেও লোকজনের পীড়াপীড়িতে বাধ্য হল। এবার পাদ্রীর মনে কুমন্ত্রণা দিতে দিতে অপরাধে লিপ্ত করল। এক পর্যায়ে মেয়েটি গর্ভধারণ করলে পাদ্রীর মনে জাগিয়ে দিল- অভিভাবকরা জানতে পারলে তোমাকেই দায়ী করবে এবং তোমার মান-সম্মান সব শেষ হবে। তারচেয়ে তাকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে ফেল। বলবে, রোগের তীব্রতায় সে মারা গেছে। এতে তোমার সব সমস্যা চুকে যাবে।
ওদিকে শয়তান তো বসে নেই। অভিভাবকদের মনেও বিভিন্ন আশঙ্কার জন্ম দিয়ে মেয়ের খোঁজে পাঠাল। পরিশেষে সকলে মিলে দোষী সাব্যস্ত করে পাদ্রীকে শূলে চড়ানোর প্রক্কালে শয়তান হাজির হয়ে নিজ পরিচয় দিয়ে আবেদকে বলল, “সব আমিই করিয়েছি। এখন যদি একটি কাজ কর- তোমার মুক্তির উপায় বের করে দিতে পারি।” নিরুপায় আবেদ পাদ্রী জানতে চাইল “কী কাজ”? বলল, “খুব সহজ। আমাকে মাত্র দুটি সেজদা করলেই হল।” উপায়ন্তর না দেখে পাদ্রী ভাবল, এখন জীবন বাঁচাই। পরে তাওবা করে নিব। কিন্তু সেজদা করা মাত্র শয়তান পলায়ন করল আর কাফের অবস্থায় পাদ্রীকে শূলে চড়ানো হল। পবিত্র কুরআনুল কারীমে আল্লাহ রব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন- “সে (শয়তান) মানুষকে বলে, কাফের হয়ে যা। তারপর যখন সে কাফের হয়ে যায়, তখন বলে, তোর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।” [সুরা হাশর : ১৬]
প্রাচীন কালের এক বুজুর্গ সম্বন্ধে বর্ণিত আছে- তিনি আপন মুরিদকে জিজ্ঞাসা করলেন, “শয়তান যখন গোনাহের কাজ তোমার সামনে অত্যন্ত আকর্ষণীয়, লোভনীয়, উপকারী হিসেবে তুলে ধরবে তখন তুমি কী করবে?” মুরিদ বলল, “শয়তানকে কষ্ট দিব, শাস্তি দিব।” পীর সাহেব তিনবার প্রশ্ন করলেন; মুরিদ প্রতিবার একই উত্তর দিল। পীর সাহেব বললেন, “এটা তোমার জন্য অসম্ভবপ্রায় অত্যন্ত কঠিন কাজ।” পুনরায় প্রশ্ন করলেন, “তুমি যদি কোন ছাগল-পালের পাশ দিয়ে যেতে থাক আর পালরক্ষক কুকুর তোমাকে আক্রমণ করে তখন তুমি কী করবে?” মুরিদ বলল, “প্রহার করব, প্রতিহত করব।” পীর সাহেব তিনবার প্রশ্ন করলেন; মুরিদ প্রতিবার একই উত্তর দিল। পীর সাহেব বললেন, “এটা তোমার জন্য অসম্ভবপ্রায় অত্যন্ত কঠিন কাজ। বরং তোমার করণীয় হবে, কুকুরের মালিককে ডাকা। সে যখন কুকুরকে বেঁধে ফেলবে তখন আর কুকুর তোমাকে আক্রমণ করতে পারবে না।”
শ্রদ্ধেয় পাঠক! শয়তান ও নফস যেমন ধূর্ত তেমনি শক্তিশালী। নিজ প্রচেষ্টায় এ মানব শত্রুদ্বয়ের হঠকারিতা থেকে রক্ষা পাওয়া অসম্ভবপ্রায় অত্যন্ত কঠিন। সুতরাং বাঁচতে হলে মহান মাওলায়ে কারীমের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে তাঁর কাছেই সাহায্য চাইতে হবে। মাওলা পাকের সান্নিধ্য অর্জনের সঠিক পদ্ধতি হল, দীনদার ওলামায়ে কেরাম ও পুণ্যবান লোকেদের সাথে সম্পর্ক রাখা। আন্তরিকভাবে মুহাব্বত করা ও সাহচর্য গ্রহণ করা। তাদের উপদেশ ও পরামর্শ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে নিজ বুদ্ধিমত্তা ও আপন নেক আমলের ওপর আত্মপ্রবঞ্চিত না হয়ে আহলুল্লাহদের সোহবত গ্রহণ করে নফস-শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচার তাওফিক দান করুন।
ওদিকে শয়তান তো বসে নেই। অভিভাবকদের মনেও বিভিন্ন আশঙ্কার জন্ম দিয়ে মেয়ের খোঁজে পাঠাল। পরিশেষে সকলে মিলে দোষী সাব্যস্ত করে পাদ্রীকে শূলে চড়ানোর প্রক্কালে শয়তান হাজির হয়ে নিজ পরিচয় দিয়ে আবেদকে বলল, “সব আমিই করিয়েছি। এখন যদি একটি কাজ কর- তোমার মুক্তির উপায় বের করে দিতে পারি।” নিরুপায় আবেদ পাদ্রী জানতে চাইল “কী কাজ”? বলল, “খুব সহজ। আমাকে মাত্র দুটি সেজদা করলেই হল।” উপায়ন্তর না দেখে পাদ্রী ভাবল, এখন জীবন বাঁচাই। পরে তাওবা করে নিব। কিন্তু সেজদা করা মাত্র শয়তান পলায়ন করল আর কাফের অবস্থায় পাদ্রীকে শূলে চড়ানো হল। পবিত্র কুরআনুল কারীমে আল্লাহ রব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন- “সে (শয়তান) মানুষকে বলে, কাফের হয়ে যা। তারপর যখন সে কাফের হয়ে যায়, তখন বলে, তোর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।” [সুরা হাশর : ১৬]
প্রাচীন কালের এক বুজুর্গ সম্বন্ধে বর্ণিত আছে- তিনি আপন মুরিদকে জিজ্ঞাসা করলেন, “শয়তান যখন গোনাহের কাজ তোমার সামনে অত্যন্ত আকর্ষণীয়, লোভনীয়, উপকারী হিসেবে তুলে ধরবে তখন তুমি কী করবে?” মুরিদ বলল, “শয়তানকে কষ্ট দিব, শাস্তি দিব।” পীর সাহেব তিনবার প্রশ্ন করলেন; মুরিদ প্রতিবার একই উত্তর দিল। পীর সাহেব বললেন, “এটা তোমার জন্য অসম্ভবপ্রায় অত্যন্ত কঠিন কাজ।” পুনরায় প্রশ্ন করলেন, “তুমি যদি কোন ছাগল-পালের পাশ দিয়ে যেতে থাক আর পালরক্ষক কুকুর তোমাকে আক্রমণ করে তখন তুমি কী করবে?” মুরিদ বলল, “প্রহার করব, প্রতিহত করব।” পীর সাহেব তিনবার প্রশ্ন করলেন; মুরিদ প্রতিবার একই উত্তর দিল। পীর সাহেব বললেন, “এটা তোমার জন্য অসম্ভবপ্রায় অত্যন্ত কঠিন কাজ। বরং তোমার করণীয় হবে, কুকুরের মালিককে ডাকা। সে যখন কুকুরকে বেঁধে ফেলবে তখন আর কুকুর তোমাকে আক্রমণ করতে পারবে না।”
শ্রদ্ধেয় পাঠক! শয়তান ও নফস যেমন ধূর্ত তেমনি শক্তিশালী। নিজ প্রচেষ্টায় এ মানব শত্রুদ্বয়ের হঠকারিতা থেকে রক্ষা পাওয়া অসম্ভবপ্রায় অত্যন্ত কঠিন। সুতরাং বাঁচতে হলে মহান মাওলায়ে কারীমের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে তাঁর কাছেই সাহায্য চাইতে হবে। মাওলা পাকের সান্নিধ্য অর্জনের সঠিক পদ্ধতি হল, দীনদার ওলামায়ে কেরাম ও পুণ্যবান লোকেদের সাথে সম্পর্ক রাখা। আন্তরিকভাবে মুহাব্বত করা ও সাহচর্য গ্রহণ করা। তাদের উপদেশ ও পরামর্শ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে নিজ বুদ্ধিমত্তা ও আপন নেক আমলের ওপর আত্মপ্রবঞ্চিত না হয়ে আহলুল্লাহদের সোহবত গ্রহণ করে নফস-শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচার তাওফিক দান করুন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন