সবচেয়ে বড় সম্মান
সবচেয়ে বড় সম্মান
ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে ঈমান, ইসলাম, ইহসান, হুসনে আখলাক (উত্তম চরিত্র), মকবুল ইবাদতের তাওফিক দান করুন। ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে কালিমায়ে তাইয়্যিবাহ, ইস্তেগফার, হামদ, তাসবিহ, দুরুদ ও সালাম, মাসনুন দোয়া ও কোরআনুল কারীমের তেলোওয়াতের কদর করার এবং এসব মহান নেয়ামতকে মহান জ্ঞান করে সে অনুযায়ী আমলের মাধ্যমে মূল্যায়ন করার তাওফিক দান করুন।
দুরুদ শরীফের হুকুম দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা ঈমানদারগণকে এক মহান গৌরবান্বিত সম্মানে ভূষিত করেছেন। কেননা দুরুদ শরীফ পাঠকারী তো এক বিরাট মহান শাহেন শাহের দরবারে হাদিয়া পেশ করছে। আরে বোকা! কোথায় আমি? কি আমার হালাত? কি আমার পরিচয়? আর কোথায় হজরত আকায়ে মাদানী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! কে তিনি! কি তাঁর অবস্থান! তারপরও দীন-হীন-ক্ষুদ্র এই আমাকে সুযোগ দান করা ঐ মহান দরবারে হাদিয়া পেশ করার- এরচেয়ে বড় সম্মান আর কি চাও?
صلى الله عليه و سلم.
হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দুরুদ পাঠানো- এ কাজটি তো মহান রব্বুল আলামিন নিজেও করেন তাঁর মহানত্বের শানমতো। সম্মানিত ফেরেশতাগণও করেন। এবার একটু চিন্তা করুন, যখন ঐ একই কাজ যা আল্লাহ তা‘আলা করেন, যা ফেরেশতারা করেন- তা আমিও করছি আমার সাধ্যানুযায়ী; তাহলে আমি কাদের সাথে একই তালিকায় পরিগণিত হলাম!?
এতো এমন এক সম্মান যা বর্ণনা করার মতো শব্দ পৃথিবীর কোনো ভাষার কোনো অভিধানে বা আদম অবধি কোনো মানুষের ব্যবহারে নাই। দুরুদ শরীফ পাঠ, এতো এমন এক সম্মান যার আধিক্য-মহত্ত্ব অনুধাবন করার মতো যোগ্যতাই মানবীয় বোধ শক্তিতে নাই।
দুরুদ শরীফ পাঠে আমরা আল্লাহ রব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করছি- ইয়া আল্লাহ! হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর আপনি আপনার খাস রহমত নাজিল করুন। এই দোয়া অবশ্যই কবুল হয়। এই দোয়ার বিনিময়ে আকা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর আরো অধিক রহমত নাজিল করা হয়।
আল্লাহ তা‘আলার রহমতের কোন সীমা-পরিসীমা নেই। সমাপ্তি বা শেষ বলতে কিছু নেই। দুরুদ শরীফ পাঠের ওছিলায় হজরত আকা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর যে রহমত বর্ষিত হতে থাকে, এই বর্ষণে আমারও একটা অংশগ্রহণ হয়ে যায়। আমাকেও একটা অংশ দান করা হয়। এ আল্লাহ তা‘আলার কত বড় ইহসান-অনুগ্রহ-করুণা-দয়া-দান ভাবতে পারো?
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন