সালাত ও সালামের প্রতিযোগিতা
মোকাবেলায়ে হুসন
জুমাতুল মোবারকের রাত ও দিনে আমাদের জামাতে একটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতার নাম দেওয়া হয়েছে “মোকাবেলায়ে হুসন”।
প্রতিযোগিতার
বিষয় হলো অধিক দুরুদ ও সালাম পাঠ এবং জুমা আদায়ের জন্য আগে আগে মসজিদে পৌঁছা। নিঃসন্দেহে দুরুদ শরীফ ও সালাম শরীফের আধিক্য দ্বারা মুসলমানের সব জিনিসেই “হুসন” (উত্তমতা) নসিব হয়। ঈমানের মধ্যেও আরো হুসন-মজবুতি আসে। আমলের মধ্যেও হুসন-সৌন্দর্য্য ও প্রবৃদ্ধি আসে। দুরুদ শরীফের সুঘ্রাণ অন্তর থেকে গোনাহের দুর্গন্ধ ও স্থূলতা দূর করে।
আলহামদুলিল্লাহ আমাদের প্রতিযোগিতায় অনেক বেশি অংশগ্রহণ হয়। অনেকে হাজার হাজার বার দুরুদ ও সালাম পাঠের সংবাদ পাঠান- মন আনন্দে ভরে যায়। আগে আগে মসজিদে যাওয়ার ব্যাপারেও অনেকে হিম্মত করেন। আজকাল চারিদিকে শুধু ফেতনা আর ফেতনা। এই ফেতনা থেকে হেফাজতের জন্য আল্লাহ তায়ালা জুমার দিনে ও জুমার দিনের আমলের মধ্যে বিশেষ প্রভাব-শক্তি রেখেছেন। দুনিয়া ও দৌলতের মহব্বত মানুষকে বে-আকল ও বেওকুফ বানিয়ে দেয়। যে অন্তরে মালের মহব্বত লালন করে তার আকলের উপর পর্দা পড়ে যায়। আলহামদুলিল্লাহ অধিক দুরুদ শরীফ পাঠ এবং আমাদের দুরুদ শরীফের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যেই সুগন্ধি দিল, দেমাগ ও রূহসমূহে আসছে তার মাধ্যমে দুনিয়ার মহব্বতের মূল স্বরূপ- এটা যে কত মারাত্মক ফেতনা তা অনুভব করা সহজ হচ্ছে। যেই দুরুদ শরীফের আমলে লেগে থাকবে সেই দুনিয়ার মহব্বতের বাস্তবতা অনুধাবন করতে সক্ষম হবে, ইন শা’ আল্লাহ।
ইনশাআল্লাহ আমিও উক্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলাম
উত্তরমুছুনআপনার অংশগ্রহণ মোবারক হোক।
মুছুনআলহামদুলিল্লাহ
উত্তরমুছুন