পোস্টগুলি

2024 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আম্বিয়া আ. ব্যতীত অন্য কারো বেলায় “সালাত” শব্দের ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়ার দলিলসমূহ

আম্বিয়া আ. ব্যতীত অন্য কারো বেলায় “সালা ত” শব্দের ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়ার দলিলসমূহ ১. “সালাত ” শব্দটি হজরত আম্বিয়া আ.গণের সম্মান-মর্যাদা প্রকাশক একটি বিশেষ প্রতীকে পরিণত হয়েছে। তাই তাঁরা ব্যতীত অন্য কারো বেলায় শব্দটি বলা যাবে না ; বা ব্যবহার করা যাবে না ; যদিও শাব্দিক অর্থের বিবেচনায় ব্যবহার সঙ্গত। ঠিক যেমন مُحَمَّد عَزَّ وَجَل   বলা হয় না। অথচ হুজুর আকদাস সাল্লাল্লা হু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামও আজিজ ও জলিল - মহান ও সম্মা নি ত। কিন্তু যেহেতু প্রশংসার এ দুটি শব্দ আল্লাহ তায়ালার নামের সাথে প্রতীকের ন্যায় যুক্ত হয়ে গিয়েছে, তাই এখন আর অন্য কারো বেলায় বলা যাবে না। ২. এ প্রসঙ্গে এ রূ প আপত্তি উত্থাপন করা যে , আল্লাহ তায়ালা ও রসুল সাল্লাল্লা হু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম নবীগণ ব্যতীত অন্যদের বেলায়ও সালাত শব্দের ব্যবহার করেছেন। আপত্তির প্রতিউত্তর হল, এটা উম্মতের জন্য অনুমোদিত হওয়ার পক্ষে দলিল বিবেচ্য হবে না। আল্লাহ রব্বুল আলামীন ও তাঁর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের অধিকার রয়েছে , যে কারো জন্য- যে কোন বিষয় খাস-স্পেশাল প্রয়োগ করতে পারেন। অন্যদের জন্য অনুম তি ...

উম্মতের জন্য সালাত

উম্মতের জন্য সালাত হজরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম ও ফেরেশতাগণ ব্যতীত অন্যদের উদ্দেশ্যে “সালাত” পাঠ করা যাবে কি-না, এ বিষয়টি নিয়ে ওলামায়ে কেরামের মধ্যে মতের ভিন্নতা ব্যাপক। বলা হয় , যেসব মাস আ লা সম্বন্ধে ওলামায়ে কেরামের ম তভিন্নতা রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম মাসআলা এটি। অন্যদের উদ্দেশ্যে সালাত পাঠ বিষ য় ক আহলে ইলমের মতামত:-   ১/ শর্তহীন জায়েজ। এ মতের স্বপক্ষে প্রমা ণ ক) যেমন আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোর আ নুল কারীমে ইরশাদ করেন: هو الذي يصلى عليكم و ملئكته খ ) নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আ লিহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন: اللهم صل على آل ابی اوفی আয় আল্লাহ! আবু আওফার পরিবারের ওপ র রহ মত বর্ষণ করুন। গ) নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আ লিহি ওয়াসাল্লাম হাত উঠিয়ে বলা : اللهم اجعل صلوتك ورحمتك على ال سعد بن عبادة আয় আল্লাহ! সাদ ইবনে ও বাদার পরিবারের ওপর আপনার পক্ষ থেকে সালাত ও রহমত বর্ষণ করুন। ঘ) সহিহ ইবনে হিব্বান-এ নিচের হাদিসটিকেও সহিহ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ان امرأة قالت للنبي صلى الله عليه وعلى اله وسلم صل على وعلى زوجى ففعل একজন নারী ন...
বরকতহীনতা-মুখাপেক্ষিতার কারণ দুনিয়ার এ জীবনে মানবীয় প্রয়োজন (খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান) থেকে আমরা কেউই মুক্ত নই। হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। রব্বুল আলামীন এ প্রয়োজনের পূর্ণাঙ্গ ও চূড়ান্ত আয়োজন করেই প্রতিটি ইনসানকে ইহজগতে পাঠিয়েছেন। এ চূড়ান্ত এমনই চূড়ান্ত যে, এক দানা কম-বেশি হওয়ারও সামান্যতম সম্ভাবনা নেই, নেই, নেই। কারো বেলায়ই নেই। অবশ্য খাজা আবদুল কাদির জিলানী রহ.-এর বয়ানের সংকলন “আলফাতহুর রব্বানী”তে দেখেছি- ‘রিজিকের এ চূড়ান্ত পরিমাণের চেয়েও কম ভোগ করে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে পারার মতো সৌভাগ্যবান খুবই কম হয়ে থাকে’ । দীর্ঘদিন কথাটার কিছুই বুঝে আসে নাই। অতঃপর একদিন হজরত জুনাইদ বাগদাদী ( গালেবান, অথবা এ মাপের কেউ হবেন ) রহ.-এর বাণী হিসেবে একজায়গায় পেলাম- ‘বান্দাকে দুনিয়াতে যা রিজিক দেওয়া হয় তা আখেরাতের রিজিক থেকে কমে যায়। দুনিয়াতে দেওয়া না হলে তা আখেরাতের জন্য রয়ে যায়।’ হজরতের এ বক্তব্য পাওয়ার পর খাজা আবদুল কাদির জিলানী রহ.-এর বক্তব্য পরিষ্কার হয়ে যায়। ভাবতে ভাবতে এ কথাও মনে উঁকি দেয়- নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তায়ালা যে প্রস্তাব করেছিলেন, বন্ধু আপনি চাইলে মক্ক...

ফেরেশতাগণের ওপর দুরুদ পাঠানোর হুকুম

ফেরেশতাগণের ওপর দুরুদ পাঠানোর হুকুম ফেরেশতাগণের ওপর দুরুদ পাঠানো জায়ে য। এ ব্যাপারে আলাদা দলিল যদিও নেই ; তবে যে সব হাদিস হজরত আম্বিয়া ও রসুল আলাইহিমুস সালাতু ওয়াত তাসলিম গণের ব্যাপারে এসেছে সেগুলো দ্বারা দলিল পেশ করা যায়। কে ননা হাদিসে ফেরেশতাগণকে “ রুসুল ( রসুলগণ ) ” বলা হয়েছে। যেমন বর্ণিত হয়েছে:- إِذَا ثَبَتَ أَنَّ اللهَ تَعَالَى سَمَا هُمْ رُسُلًا [ জাদে শাফাআত কিতাবটি যিনি বিন্যস্ত করেছেন, অর্থাৎ মুহতারাম মাওলানা মাসউদ আযহার দা.বা.-এর লেখাগুলোকে যিনি কিতাবাকারে ধারাবাহিক বিন্যাস করেছেন। বিন্যস্তকার এখানে এসে তাঁর পক্ষ থেকে লিখেছেন, ফেরেশতাগণের ওপর দুরুদ পাঠানো জায়েয হওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তবে ওলামায়ে কেরাম জায়েয হওয়ার দলিল বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে পেশ করেছেন। অধম অনুবাদক হানিফ আল হাদী এখানে দুটি কথা যুক্ত করি। আমরা অনেকেই মুহাম্মাদ বিন সুলাইমান আলজাজুলী [মৃত্যু ৮৭০হিজরি] লিখিত   “দালায়েলুল খাইরাত ওয়া শাওয়ারিকুল আনওয়ার ফি যিকরিস সালাতি আলান নাব্যিয়্যিল মুখতার” (সংক্ষেপে দালায়েলুল খাইরাত) সম্বন্ধে জানি। যা ইসলামের দেড় হাজার বছরে সালাত ও সালামের অন্যতম বড় সংক...

হাজার সমস্যার একই সমাধান

হাজার সমস্যার একই সমাধান আমাদের ইহ ও পরকালীন জীবনের সব সমস্যার প্রকৃত সমাধান আল্লাহ তায়ালা আমলের মধ্যেই নিহিত রেখেছেন। প্রতিটি আমলের মূল উদ্দেশ্য মহান রব্বুল আলামীন আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করা। আবার আমাদের দুনিয়াবী প্রয়োজনের জন্যও আমরা আল্লাহ রব্বুল আলামীনের অনুগ্রহেরই মুখাপেক্ষী। তাঁর মহান দরবারই আমাদের শুরু ও শেষ একমাত্র ভরসার স্থল। সুতরাং কোন আমলের মাধ্যমে আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ করা মুমিনের স্বভাবসুলভ। কোরআন-হাদীসের ভাষ্যও এমনটাই নির্দেশ করে। যদিও যে কোন আমলে সালেহ-নেক আমলই আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়। তবে বিশেষ উদ্দেশ্যে বিশেষ কোন আমলও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। আবার হাদীসে বর্ণিত না থাকা সত্ত্বেও পূর্ববর্তী আহলুল্লাহগণের অভিজ্ঞতায় নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে ফলপ্রসূ এমন আমলও যদি আকীদা ও আমল উভয় দিক দিয়ে বিদআতের গণ্ডিমুক্ত থাকে তাও করতে কোন বাধা নেই। তবে মনে রাখতে হবে, যে কোন আমল দ্বারা উপকৃত হওয়ার জন্য বিশেষ কিছু করণীয় রয়েছে। এসব শর্ত মানা ব্যতীত আমলের কোন ফায়েদা নেই এমনটা বলছি না; তবে শর্তাবলী আমলে আনতে পারলে তখনই অনুভব করা যাবে যে অধম আসলে কী বলতে চাচ্ছি।   মামুলাত দ্বা...

সালাত ও সালাম এ উম্মতের বৈশিষ্ট্য

সালাত ও সালাম এ উম্মতের বৈশিষ্ট্য নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের প্র তি সালাত ও সালাম পেশ করা- এটা এ উম্মতের বৈশিষ্ট্য। আর কো নো উম্মতকে তাদের নবীর প্রতি সালাত ও সাল মের হুকুম দেওয়া হয় নাই। আবু যর আলহারবী রহ.-এর বর্ণনা মতে , উম্মতে মোহাম্মদী সাল্লাল্লা হু আলাইহি ওয়া আ লিহি ওয়াসাল্লামকে এই হুকুম দ্বিতীয় হিজরিতে প্রদান করা হয়েছে। একটি বর্ণনায় রয়েছে, এই হুকুম মেরাজ রজনীতে দেওয়া হয়েছে। তবে সকলের জানা আছে যে, এ আয়াতটি মাদানী । [ সুতরাং মেরাজ রজনীর মতের চেয়ে দ্বিতীয় হিজরির মতটিই অধিক গ্রহণযোগ্য।] হু জুর নবী কারীম সাল্লাল্লা হু আলাইহি ওয়াআলিহি ও য়া সাল্লাম ব্যতীত অন্য আম্বিয়াদের ওপর দুরুদ পাঠ করা নিঃসন্দেহে জায়েজ। মাকরুহ হওয়ারও কোন সম্ভাবনা নেই। এ মতের স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে “ রূহুল মাআনী” তে নিম্নোক্ত হাদীসগুলো বর্ণিত হয়েছে। إذَا صَلَّيْتُمْ عَلَى الْمُرْسَلِينَ فَصَلُّوا عَلَى مَعَهُمْ فَإِنِّي رَسُولَ مِنَ الْمُرْسَلِينَ যখন তোমরা রসূলগণের ওপর দুরুদ পাঠ করবে তখন তাঁদের সাথে আমার ওপরও দুরুদ পাঠ করিও। নিশ্চয়ই আমিও রসূলগণের মধ্য হতে একজন ...