ফেরেশতাগণের ওপর দুরুদ পাঠানোর হুকুম
ফেরেশতাগণের ওপর দুরুদ পাঠানোর হুকুম
ফেরেশতাগণের ওপর দুরুদ পাঠানো জায়েয। এ ব্যাপারে আলাদা দলিল যদিও নেই; তবে যে সব হাদিস হজরত আম্বিয়া ও রসুল আলাইহিমুস সালাতু ওয়াত তাসলিমগণের ব্যাপারে এসেছে সেগুলো দ্বারা দলিল পেশ করা যায়। কেননা হাদিসে ফেরেশতাগণকে “রুসুল (রসুলগণ)” বলা হয়েছে। যেমন বর্ণিত হয়েছে:-
إِذَا ثَبَتَ أَنَّ اللهَ تَعَالَى سَمَا هُمْ رُسُلًا
[জাদে শাফাআত কিতাবটি যিনি বিন্যস্ত করেছেন, অর্থাৎ মুহতারাম মাওলানা মাসউদ
আযহার দা.বা.-এর লেখাগুলোকে যিনি কিতাবাকারে ধারাবাহিক বিন্যাস করেছেন। বিন্যস্তকার
এখানে এসে তাঁর পক্ষ থেকে লিখেছেন, ফেরেশতাগণের ওপর দুরুদ পাঠানো জায়েয হওয়ার
ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তবে ওলামায়ে কেরাম জায়েয হওয়ার দলিল বিভিন্ন জন
বিভিন্নভাবে পেশ করেছেন। অধম অনুবাদক হানিফ আল হাদী এখানে দুটি কথা যুক্ত করি।
আমরা অনেকেই মুহাম্মাদ বিন সুলাইমান আলজাজুলী [মৃত্যু ৮৭০হিজরি] লিখিত “দালায়েলুল খাইরাত ওয়া শাওয়ারিকুল আনওয়ার ফি
যিকরিস সালাতি আলান নাব্যিয়্যিল মুখতার” (সংক্ষেপে দালায়েলুল খাইরাত) সম্বন্ধে
জানি। যা ইসলামের দেড় হাজার বছরে সালাত ও সালামের অন্যতম বড় সংকলন। তরিকতপন্থীদের সবিশেষ
পাঠ্য। নকশেবন্দী সিলসিলার গুরুত্বপূর্ণ মামুলাত। এই কিতাবে লেখক বহুস্থানে
বিভিন্ন বাকপদ্ধতিতে ফেরেশতাগণের ওপর দুরুদ পাঠ করেছেন। এইমূর্খের জানামতে,
অদ্যাবধি কেউ তার এই কর্মের ওপর কোনো সমালোচনা করেন নাই। প্রায় ছয়শ’ বছর যাবৎ
ব্যাপক পঠন-পাঠনের পরও কোনো সমালোচনা না হওয়াও উম্মতের নিকট জায়েয হওয়ার একটি
প্রমাণ হিসেবে পেশ করা যেতে পারে।
কিতাবটির আলোচনা, পৃথক বিন্যস্তকারের
প্রয়োজন ও পাঠের সময় মনের হালাত সব মিলিয়ে আমার মনে হয়েছে, মুহতারাম লেখক যতটা না তাঁর
ইলম ও হিকমত থেকে লিখেছেন তারচেয়ে বেশি লিখেছেন ইলহামীভাবে। এটা একান্তই অনুবাদকের
নিজস্ব মত। শ্রদ্ধেয় পাঠকবর্গের দ্বিমত পোষণের অবকাশ অবশ্যই আছে।]
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন