নবীজীর জন্য মাগফেরাতের দোয়া
হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের জন্য মাগফেরাতের দোয়া
-
غفر الله له
سامحه
اللهم اغفر له
এরূপ বলা যাবে না।
কেননা এরূপ বাক্য ব্যবহারের
ব্যাখ্যায় নাউযুবিল্লাহ এরূপ বলা সম্ভব যে, তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম জীবনে কোনো বিচ্যুতির
শিকার হয়েছেন। কিতাবের লেখক মুহতারাম মাওলানা মাসউদ আযহার দা.বা. বলেন, আমিও মনে করি এরূপ দোয়া নাজায়েজ হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
যথা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম নিজের জন্য প্রতিদিন শতবার ইস্তেগফার করতেন অথচ তিনি মাসুম ছিলেন। আরো দৃষ্টান্ত- নাবালেগ শিশুর জানাজায় তার জন্য ইস্তেগফার করা হয়। তথাপিও যেহেতু সাধারণত মাগফিরাতের দোয়া গুনাহের ক্ষমার জন্যই করা হয়ে থাকে অতএব এই মহান ব্যক্তিত্বের শানে এটা বড়ই বেআদবির নামান্তর। আদবের চাহিদা হল, হুজুর আকদাস সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের শানে এ জাতীয় বাক্য যে কোনো অর্থেই হোক ব্যবহার না করা।
অথবা
عفا الله تعالى عنه
এ দোয়াও বৈধ হবে না। এটিও
মাগফেরাতের সমার্থক। প্রশ্ন
হতে পারে যে, কোরআন মাজীদে তো আল্লাহ
তায়ালা নবীজীর জন্য এ শব্দ ব্যবহার করেছেন:-
" عفا الله عنك لم أذنت لهم
"
আমরা উত্তরে বলব, এটা আল্লাহ তায়ালার হক। আল্লাহ তায়ালার অধিকার। তিনি তাঁর বান্দাকে যে শব্দে ইচ্ছা
উল্লেখ করবেন। সম্মান প্রদর্শন আর আদব রক্ষা করা এটা তো উম্মতের কর্তব্য।
[যে শব্দ উম্মত ব্যবহার করলে আদব নষ্ট হয়; আশ্চর্যের কি আছে- আল্লাহ তায়ালা যখন সে শব্দ ব্যবহার করেন সেটা হয় অনন্য মর্যাদা।-অনুবাদক]
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন