প্রকৃত সৌভাগ্য

আল্লাহ তায়ালা আদেশ দিয়েছেন তাপর দরুদ পাঠাও তার প্রতি সালাম পাঠাও বহুত বহুত সালাম কে সেই মহান সত্তা? যার পর দরুদ পাঠাতে, যার প্রতি সালাম- বহু বহু সালাম পাঠাতে আল্লাহ তায়ালা আদেশ দেন? তিনি আর কেউ নন; তিনি হরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

اللهم صل وسلم على سيدنا محمد

আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা সাইয়্যেদিনা মোহাম্মদ


صلى الله عليه وسلم

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

প্রিয় ভাই আমার! যার কাছে “মুহাম্মাদ” নাই, দুনিয়ার আর সব কিছু থাকলেও প্রকৃত অর্থে তার কাছে কিছুই না। যে ব্যক্তি হরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বঞ্চিত সে দুর্ভাগা, হতভাগা, বদনসিব। সে  রিক্তহস্ত, কপর্দকশূন্য যদিও সে বড় বিজ্ঞানী হয় যদিও সে শতকোটির মালিক বড় ব্যবসায়ী হয় যদিও সে হাজার কোটির মালিক বড় শিল্পপতি হয় যদিও সে সারা পৃথিবীর বাদশা হয় অনেক সম্পদের মালিক হয়ে যাওয়া এটা কোন সৌভাগ্য নয় মূলত সে বন্য পশুদের চেয়েও অধিক বঞ্চিত সে জ্ঞানশূন্য এবং সকল প্রকার সৌভাগ্যবঞ্চিত

জাগতিক নিত্য নতুন পণ্য উৎপাদন উদ্ভাবন আবিষ্কার সৌভাগ্যের কিছু নয়। এটাতো একটা সাময়িক প্রয়োজনের যোগানমাত্র পৃথিবীতে মানব আগমনের শুরু থেকেই জগতে টিকে থাকার এই প্রয়োজন- অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের ব্যবস্থা, আরাম-আয়েশ, ভোগ-বিলাসিতার আয়োজন; এসবের পিছনে মানুষ লেগেই আছে সময়ের সাথে রং ঢং আঁকার প্রকার প্রকৃতি পরিবর্তন হচ্ছে নতুন আসছে পুরাতন হয়ে যাচ্ছে বিলীন পরিবর্তন আর বিলীন হয়ে হারিয়ে যাওয়া- আজকের আবিষ্কৃত নতুন পণ্যটির ভবিষ্যৎ সুতরাং পরিবর্তনশীল ও বিলীয়মান ন্যের উৎপাদক উদ্ভাবক আবিষ্কারক হওয়া প্রকৃত কোন সৌভাগ্যের কিছু হতেও পারে না

মানুষ তো মানুষ শুধু মানুষ কেন প্রাণীরা অনেক নিপু সৃষ্টি করে থাকে মাকড়সার জালের দিকে তাকিয়ে দেখো! চড়ুই পাখির বাসার প্রতি লক্ষ্য করো! জঙ্গলে প্রাণীদের গুহাগুলো পরিদর্শন করো। নিজের কোন যোগ্যতাকে তুমি এত অসাধারণ বা অনন্য বিষয় মনে করছো? একজন সামান্য মেথর অতি সামান্য বিনিময়ে হাজার রকম পচা উৎকট দুর্গন্ধে আকণ্ঠ নিমজ্জিত থেকে কাজ করাকে নিজের পেশা হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছে সমাজের আরো হাজার লোকের নিকট যা অসাধ্য তা সাধন করে নিয়েছে অনায়াসেই মানুষ তো বিষাক্ত সর্পকেও মন্ত্রমন্থনে বশ করে নিয়ে তার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদ পাহারা দিয়ে থাকে

এসবের কোনটাই এমন কোন যোগ্যতা নয় যাকে সৌভাগ্য বলা চলে প্রকৃত অর্থে সৌভাগ্য হলো কোন ব্যক্তি হরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পেয়ে যাওয়ারত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিচয় লাভ করারত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কালিমা গ্রহণ করা। কালিমা পড়ে নেওয়া তার সাথে সম্পর্ক তৈরি করা যে কালিমা গ্রহণ করল, যে হরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সম্পর্ক তৈরি করে নিল- সত্যিকার অর্থে সে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিল সফলতা উন্নতির সোপানে পা রাখল অন্ধকার থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে আলোর জগতে প্রবেশ করল এটাই হলো একমাত্র সৌভাগ্যের পথ

এরপর যে যতটুকু চাইবে শুধু উপরে উঠতে থাকবেরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটবর্তী আরো নিকটবর্তী আরো নিকটবর্তী হতেই থাকবে। প্রতিনিয়ত নৈকট্যের তল সাগরের গভীর থেকে গভীরে তলিয়ে যেতে থাকবে। যেতে যেতে নিজের সম্পদ-সন্তান-প্রাণ সবকিছুর চেয়ে তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশি প্রিয় হয়ে উঠবেন আর এই নৈকট্য প্রাপ্তির এক অতি শক্তিশালী মাধ্যম অধিক পরিমাণে আরো অধিক পরিমাণে এবং অধিক পরিমাণে দুরুদ ও সালাম

صلى الله عليه وسلم

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

 

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

“সকাল বেলার ধনীরে তুই ফকির সন্ধ্যা বেলা”

দুরুদে সালাত শব্দ থাকা আবশ্যক সালামে থাকবে س ل م

দুটি রহস্যান্মোচন