এই তো মোর চাঁন কপাল : অনুমতি যে পেয়েছি
হযরত রাসুল কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমাদের ওপর
রয়েছে অসংখ্য অগণিত দয়া অনুগ্রহ ইহসান করুণা। যার প্রতিদান কোনক্রমেই সম্ভব নয়। তথাপি এ উম্মতের ওপর আল্লাহ তায়ালার সবিশেষ এক অনুগ্রহ এই যে, তিনি দুরুদ শরীফের মতো সহজ, অন্তরে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিকারী, পরিতৃপ্তিদায়ক,
মকবুল একটি ইবাদত এ উম্মতকে দান করেছেন। দুরুদ শরীফের মাধ্যমে একদিকে
যেমন আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি ও খাস রহমত লাভ হয়; অপরদিকে আকায়ে মাদানী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে
বিদ্যমান সম্পর্ক ও মহব্বতেরও প্রকাশ ঘটে।
দুরুদ শরীফের ফজিলত অনেক। দুরুদ শরীফের উপকারিতা
বলে বা লিখে শেষ করা তো দূরের কথা একটা পর্যায়ে পৌঁছানোও সম্ভব নয়। অতীতের সৌভাগ্যবান লোকেরা দুরুদ শরীফের মাধ্যমে যেসব নেয়ামত লাভ করেছেন সেসবের অত্যন্ত আবেগপূর্ণ আকর্ষণীয় দীর্ঘ ফিরিস্তি রয়েছে। বেশি দূরে যাওয়ার দরকার নেই। দুরুদ শরীফের ভালোবাসা লালনকারী নিজ কালের লোকেদের
দেখে নিন। তাদের জীবন কত পূত-পবিত্র, নির্ঝঞ্ঝাট, নিষ্কলুষ। চেহারায় কেমন উজ্জ্বল নূর চমকায়। যে ব্যক্তি দুরুদ শরীফের যতটা খেদমত করেছে সে ততটাই উচ্চৈঃ মর্যাদা লাভ করেছে। মর্তবা পেয়েছে।
সত্য কথা বলতে কি- আমিও আমার এই ক্ষুদ্র জীবনে অধিক দুরুদ পাঠকারীদের খুবই শান্তিময়
জুট-ঝামেলাহীন জীবন কাটাতে দেখেছি। তাদের মধ্যে সার্বিক বিচারে দীনদারীও পেয়েছি অতি উত্তম মানের। তাদের কাউকে কাউকে তো দুনিয়াবী জীবনে যেমন, তেমনি
অন্তর জগতে বাদশাহী করতে দেখেছি। যদি ধ্বংসশীল এ জগতে
এত বরকত প্রকাশ পায়- তাহলে চিরস্থায়ী আখেরাতে দুরুদ শরীফের বরকতে কত কী যে লাভ হবে!
হবে না কেন? দুরুদ শরীফ তো কোন সামান্য ইবাদত নয়। আল্লাহ তায়ালা নিজেই তাঁর প্রিয় বান্দা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি সালাত-রহমত প্রেরণ করেন। ফেরেশতাগণও তাঁর ওপর সালাত-রহমতের দোয়া করেন। আল্লাহর শুকরিয়া ঈমানদারদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, আকায়ে
মাদানী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামের ওপর সালাত ও সালামের।
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উত্তরমুছুন