ওয়া সাল্লিমু তাসলিমা
ওয়া সাল্লিমু তাসলিমা
وسلموا تسليما –এর প্রথম উদ্দেশ্য তো উপরে বর্ণিত হল, তোমরা তাঁর প্রতি সালাম পাঠাও, বলো- السلام عليك ايها النبي । অন্য বর্ণনায় وسلموا تسليما –এর অর্থ করা হয়েছে তোমরা তাঁর বিধি-বিধানের অনুসরণ করো। অর্থাৎ খুব ভালোভাবে তাঁর আনুগত্য প্রকাশ করো। শাব্দিক অর্থ হিসেবে এ অর্থও সঠিক। বর্ণনা ও আমলের পরম্পরা হিসেবে প্রথম অর্থই শক্তিশালী এবং অধিকাংশ আহলে ইলমের মতও এটা।
আল্লাহ তায়ালার সালাম বলা
السلام عليك ايها النبي বাক্যটি ব্যাকরণ অনুযায়ী সংবাদমূলক-জুমলায়ে খবরিয়া হলেও উদ্দেশ্য দোয়া। আমরা নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের জন্য আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করি। হে আল্লাহ! আপনি নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামকে সালামতি-শান্তি ও নিরাপত্তা দান করুন।
প্রশ্ন হল, আল্লাহ তায়ালা নিজেও এ বাক্যটি সালাম হিসেবে বলেছেন। السلام عليك ايها النبي উপর্যুক্ত বর্ণনা অনুযায়ী বাক্যটি যদি দোয়ার অর্থেই হয়ে থাকে তাহলে আল্লাহ তায়ালা যে মেরাজে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামকে বাক্যটি বলেছেন- তার অর্থ কী? আল্লাহ তো কারো নিকট কোন দোয়া বা প্রার্থনা করেন না। উত্তরে বলা হবে, তখন বাক্যটি ইরাদা বা ইচ্ছা প্রকাশের অর্থে ধর্তব্য হবে- হে নবী! আমি আপনার জন্য সালামতি-শান্তি-নিরাপত্তার ইচ্ছা করেছি ও আদেশ দান করেছি।
“আল্লাহুম্মা সাল্লিম আলান নাবিয়্যি”
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের প্রতি সালাম পাঠানোর একটি তরিকা হল, اللهم سلم على النبي
“আল্লাহুম্মা সাল্লিম আলান নাবিয়্যি” বলা। এভাবে সালাম পাঠ করলে তার অর্থ বা উদ্দেশ্য কী? এ বাক্যের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে ওলামায়ে কেরামের তিনটি বক্তব্য পাওয়া যায়।
ক.
হে আল্লাহ! আপনি আপনার নবীর প্রতি “السلام على النبي”
“আসসালামু আলান নাবীয়্যি” বলে সালাম প্রেরণ করুন।
খ.
হে আল্লাহ! তাঁর জন্য “সালামতি” শান্তি ও নিরাপত্তা আবশ্যক করে দিন।
গ.
হে আল্লাহ! তাঁকে সবরকমের বিপদ ও ক্ষতি থেকে রক্ষা করুন।
অনেক সময় সালামের অর্থ এও হয়- আল্লাহ তায়ালা তাঁকে {যার প্রতি সালাম প্রেরণ করা হচ্ছে} এমন বানিয়ে দিক যেন সর্বদা তাঁর প্রশংসা ও গুণকীর্তন চলতেই থাকে। যেমন: سلام على نوح فى العلمين- سلام على ابراهيم- سلام على موسى و هارون- অনুগত হয়ে যাও
وسلموا تسليما –এর প্রথম উদ্দেশ্য তো উপরে বর্ণিত হল, তোমরা তাঁর প্রতি সালাম পাঠাও, বলো- السلام عليك ايها النبي । অন্য বর্ণনায় وسلموا تسليما –এর অর্থ করা হয়েছে তোমরা তাঁর বিধি-বিধানের অনুসরণ করো। অর্থাৎ খুব ভালোভাবে তাঁর আনুগত্য প্রকাশ করো। শাব্দিক অর্থ হিসেবে এ অর্থও সঠিক। বর্ণনা ও আমলের পরম্পরা হিসেবে প্রথম অর্থই শক্তিশালী এবং অধিকাংশ আহলে ইলমের মতও এটা।
আল্লাহ তায়ালার সালাম বলা
السلام عليك ايها النبي বাক্যটি ব্যাকরণ অনুযায়ী সংবাদমূলক-জুমলায়ে খবরিয়া হলেও উদ্দেশ্য দোয়া। আমরা নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের জন্য আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করি। হে আল্লাহ! আপনি নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামকে সালামতি-শান্তি ও নিরাপত্তা দান করুন।
প্রশ্ন হল, আল্লাহ তায়ালা নিজেও এ বাক্যটি সালাম হিসেবে বলেছেন। السلام عليك ايها النبي উপর্যুক্ত বর্ণনা অনুযায়ী বাক্যটি যদি দোয়ার অর্থেই হয়ে থাকে তাহলে আল্লাহ তায়ালা যে মেরাজে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামকে বাক্যটি বলেছেন- তার অর্থ কী? আল্লাহ তো কারো নিকট কোন দোয়া বা প্রার্থনা করেন না। উত্তরে বলা হবে, তখন বাক্যটি ইরাদা বা ইচ্ছা প্রকাশের অর্থে ধর্তব্য হবে- হে নবী! আমি আপনার জন্য সালামতি-শান্তি-নিরাপত্তার ইচ্ছা করেছি ও আদেশ দান করেছি।
“আল্লাহুম্মা সাল্লিম আলান নাবিয়্যি”
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের প্রতি সালাম পাঠানোর একটি তরিকা হল, اللهم سلم على النبي
“আল্লাহুম্মা সাল্লিম আলান নাবিয়্যি” বলা। এভাবে সালাম পাঠ করলে তার অর্থ বা উদ্দেশ্য কী? এ বাক্যের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে ওলামায়ে কেরামের তিনটি বক্তব্য পাওয়া যায়।
ক.
হে আল্লাহ! আপনি আপনার নবীর প্রতি “السلام على النبي”
“আসসালামু আলান নাবীয়্যি” বলে সালাম প্রেরণ করুন।
খ.
হে আল্লাহ! তাঁর জন্য “সালামতি” শান্তি ও নিরাপত্তা আবশ্যক করে দিন।
গ.
হে আল্লাহ! তাঁকে সবরকমের বিপদ ও ক্ষতি থেকে রক্ষা করুন।
অনেক সময় সালামের অর্থ এও হয়- আল্লাহ তায়ালা তাঁকে {যার প্রতি সালাম প্রেরণ করা হচ্ছে} এমন বানিয়ে দিক যেন সর্বদা তাঁর প্রশংসা ও গুণকীর্তন চলতেই থাকে। যেমন:
سلام على نوح فى العلمين-
سلام على ابراهيم-
سلام على موسى و هارون-
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন