দুটি রহস্যান্মোচন

 দুটি রহস্যান্মোচন

আয়াতে কারিমায় “সালাত”কে আল্লাহ তায়ালা ও ফেরেশতাগণের সাথে সম্বন্ধযুক্ত করা হয়েছে; কিন্তু “সালাম”কে এরূপ করা হয়নি। আর ঈমানদারদেরকে উভয়টার (সালাত ও সালাম) হুকুম দেওয়া হয়েছে।

১. সালামের মধ্যে দুটি অর্থ বিদ্যমান। প্রথম, তাহিয়্যাহ-দোয়া ও মুহাব্বতের প্রকাশ। দ্বিতীয়, আনুগত্যের ঘোষণা। আমাদেরকে সালামের হুকুম দেওয়া হয়েছে। আমরা উভয় অর্থেরই মুহতাজ। উভয় অর্থই আমাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের প্রতি মুহাব্বত প্রকাশ করা এবং তাঁর আনুগত্যের ঘোষণা দেওয়া দুটিই আমাদের কর্তব্য। অপরদিকে, আল্লাহ তায়ালা ও ফেরেশতাগণের জন্য দ্বিতীয় অর্থ (আনুগত্যের ঘোষণা) ঠিক নয়। তাই মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন ও ফেরেশতাগণের সাথে সালামকে সম্বন্ধিত করা হয়নি। এই তাফসিরের ওপর একটি প্রশ্ন এই উঠতে পারে- কুরআনুল কারীমের অন্যত্র আল্লাহ তায়ালার সাথে সালামের সম্বন্ধ রয়েছে। যেমন : “সালামুন আলা ইবরাহিম”। প্রশ্নের দুটি উত্তর। ক. এখানে শুধু তাহিয়্যা অর্থে ব্যবহৃত। খ. আয়াত দ্বারা ঈমানদারদের হুকুম করা হয়েছে- তারা যেন ইবরাহিম আ.-এর ওপর সালাম পাঠায়।

২. “সালাত”-এর মধ্যে “তাহিয়্যাহ”-এর অর্থ আপনাআপনিই শামিল হয়ে যায়। আল্লাহ তায়ালা ও ফেরেশতাগণের সাথে সালাত-এর যে সম্বন্ধ: এই সালাতে সালাম-তাহিয়্যাহ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু ঈমানদারদেরকে সালাত-এর সাথে সাথে আলাদা সালাম-এর হুকুম দেওয়া হয়েছে। যদিও সালাতের মধ্যেই তাহিয়্যাহ অর্থে সালাম অন্তর্ভুক্ত ছিল। তারপরও আনুগত্যের ঘোষণার স্বার্থে পৃথকভাবে সালামের উল্লেখ। যেন সালাতের সাথে সাথে পৃথক সালাম পেশ করার মাধ্যমে আনুগত্যের ঘোষণা পূর্ণতা পায়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

“সকাল বেলার ধনীরে তুই ফকির সন্ধ্যা বেলা”

দুরুদে সালাত শব্দ থাকা আবশ্যক সালামে থাকবে س ل م