রহমত যত চাও অর্জন কর/ হযরত শাহ আব্দুল কাদের কুদ্দিসা সির্রুহু
بسم الله الرحمن الرحيم
পরম করুণাময় দয়ালু দাতা আল্লাহর নামে শুরু।
আল্লাহ তা‘আলা ঈমানদারগণকে হুজুর নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর দুরুদ ও সালাম পাঠের আদেশ দিয়েছেন খুবই গুরুত্ব সহকারে। বিশেষ গুরুত্বসহ কৃত এই নির্দেশটি সুরা আহযাবের ৫৬ নম্বর আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। এরশাদ হচ্ছে :-
ان الله وملائكته يصلون على النبي يا ايها الذين امنوا صلوا عليه وسلموا تسليما
“নিশ্চয়ই আল্লাহ নবীর প্রতি রহমত নাযিল করেন এবং তাঁহার ফেরেশতাগণও নবীর জন্য রহমতের দু‘আ করে। হে মুমিনগণ! তোমরাও নবীর জন্য রহমতের দু‘আ কর এবং তাঁহাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।” [সুরা আহযাব : ৫৬]
এই আয়াতে মুবারকাটি উম্মতের ওপর আল্লাহ তা‘আলার মহান অনুগ্রহ। আয়াতটি উভয় জগতের রহমতের ভাণ্ডার। সব মুসলমানের উচিত আয়াতে মুবারকাটি বুঝে তার ওপর আমল করা। হযরত শাহ আব্দুল কাদের কুদ্দিসা সির্রুহু আয়াতে মোবারকার তাফসীরে বলেন, আয়াতের হুকুমটি নামাজে السلام عليك ايها النبي
আসসালামু আলাইকা আইয়ূহান্ নাবীউ এবং اللهم صل على محمد বৈঠকে পঠিত দুরুদে ইবরাহিমী দ্বারা আদায় হয়। নামাজে পঠিত তাশাহুদে অন্তর্ভুক্ত এই সালাম ও দুরুদে সালাতের যে শব্দ- সালাতু সালামের শব্দ হিসেবে এ দুটি সবচেয়ে আফজাল। সর্বোত্তম।
আল্লাহ তা‘আলার দরবারে পয়গম্বর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের জন্য প্রার্থনা, এটা অত্যন্ত মকবুল ইবাদত। হুজুরে আকদাস সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের ওপর তো যথাযোগ্য রহমত অবতীর্ণ হয়েছেই এবং অনবরত হচ্ছেই তথাপি দুরুদ শরীফ পাঠকারী প্রতি দুরুদে দশটি করে রহমত প্রাপ্ত হবে। সুতরাং যে যত চায় তত রহমত অর্জন করে নিক। এটা অবশ্যই এক মহান ঘোষণা। এক বিরাট পুরস্কার।
জাজাকাল্লাহ খাইরান মুহতারাম হযরত
উত্তরমুছুন