যা চাবে তাই পাবে
যা চাবে তাই পাবে
আল্লাহ তা'আলা তাঁর ঐ বান্দা
ও বান্দীর ওপর দশটি বিশেষ রহমত নাজিল করেন, যে একবার দুরুদ শরীফ পাঠ করে। দুরুদ শরীফ পাঠকারীর
ওপর যতই আল্লাহর রহমত নাজিল হতে থাকে ততই আল্লাহ তা'আলার অসন্তুষ্টি দূর হতে থাকে। এ কারণেই দুরুদ শরীফের
বিনিময় মানুষের প্রয়োজন পুরা হয় আবার গুনাহও মাফ হয়।
এক যুবকের ঘটনা। তার মায়ের ছিল ক্যান্সার। এক বুজুর্গ তাকে বললেন, তোমার মাকে বলো অধিক পরিমাণে যেন দুরুদ শরীফ পড়ে।
যুবক বলল, আমার মা তো আজ বিশ
দিন যাবৎ কথাও বলতে পারেন না। বুজুর্গ বললেন, তাকে বলো মনে মনে পড়ুক। আস্তে আস্তে পড়ুক। যেভাবে
পারে যেন পড়তে থাকে। কিছুদিন পর ঐ যুবক খুব হাসিখুশি বুজুর্গের নিকট এসে জানাল,
তার মায়ের অবস্থা উন্নতি
হচ্ছে। এতে ডাক্তাররা সবাই আশ্চর্য;
কারণ তারা আশা ছেড়ে দিয়েছিল।
তাদের মতে, এ রোগীর সুস্থতার
আর কোন অবলম্বন ছিল না।
এক লোকের কন্যার বিবাহ হচ্ছিল না। বয়স হয়ে গিয়েছিল ২৯ বছর। লোকটি খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত
হয়ে পড়েছিল। কোন একজন তাকে হজরত উবাই ইবনে কা'ব রাদি. বর্ণিত দুরুদ শরীফ সংক্রান্ত হাদিসটি শোনাল।
"যে তার দোয়ার পূর্ণ সময় দুরুদ শরীফ পাঠ করে— তার সকল প্রয়োজন পূর্ণ হয়।" লোকটি আপন কন্যাকে
দুরুদ শরীফ পাঠের প্রতি উদ্বুদ্ধ করল। মেয়েটিও অধিক পরিমাণে দুরুদ শরীফ পাঠে লেগে
গেল। এমনকি গৃহস্থালীর কাজকর্ম— খানা পাকানো,
থালাবাটি ধোওয়া ঐ সময়গুলোতেও
পড়তে থাকল। এর কিছুদিনের মধ্যেই উত্তম সম্বন্ধ আসে এবং বিবাহ হয়ে যায়।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা! এগুলো তো দুরুদ শরীফের বরকতের সামান্য কয়েক ফোঁটামাত্র।
আসল বর্ষণ তো হবে আখেরাতে! তখনই অনুমেয় হবে দুরুদ শরীফ যে প্রকৃতার্থে কত বড় নেয়ামত।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন