নববী জবানে দুরুদের ফাজায়েল ০৪

নববী জবানে দুরুদের ফাজায়েল ০৪

নেফাক জাহান্নাম থেকে মুক্তি

হুজুর আকদাস সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দুরুদ শরীফ পাঠ করবে- আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশটি রহমত নাজিল করবেন। যে ব্যক্তি আমার ওপর দশবার দুরুদ শরীফ পাঠ করবে- আল্লাহ তায়ালা তার ওপর শতবার রহমত নাজিল করবেন। যে ব্যক্তি আমার ওপর শতবার দুরুদ পাঠ করবে আল্লাহ তায়ালা তার কপালে "মুনাফেকি ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি" লিখে দেন। কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তাকে শহীদগণের সাথে ঠিকানা দান করবেন।

[ হজরত আনাস রাদি./ আলমু'জামুল আওসাত হাদিস নং- ৭২৩৫/ দারুল হারামাইন, কায়রো]

ফেরেশতা নিয়োজিত

রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দুরুদ পাঠ করে আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশটি রহমত নাজিল করেন। দুরুদের ওপর একজন ফেরেশতা নিয়োজিত আছে; সে তা আমার নিকট পৌঁছে দেয়।

[হজরত আবু উমামা রাদি./আল মু'জামুল কাবির হাদিসনং ৭২৩৫/ মাকতাবাতু ইবনে তাইমিয়্যাহ, কায়রো]

আজানের পর দুরুদ শরীফ

যখন তোমরা মুআজ্জিনের আজান শুনতে পাও- তখন সে যা বলে (উত্তরে) তাই বল। অতঃপর আমার ওপর দুরুদ পাঠ করো। কেননা যে আমার ওপর একবার দুরুদ পাঠ করে বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশটি রহমত নাজিল করেন। এরপর আল্লাহ তায়ালার নিকট আমার জন্যওসিলাহপ্রার্থনা করো। "ওসিলাহ" জান্নাতের এমন একটি স্থান যা আল্লাহর বান্দাগণের মধ্যে মাত্র এক ব্যক্তি পাবে। আমি আশা করি, সেই এক ব্যক্তি হব আমি। অতএব যে আমার জন্য "ওসিলাহ”-এর প্রার্থনা করবে তার জন্য আমার সুপারিশ আবশ্যক।

[হজরত আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আস রাদি./সহিহ মুসলিম হাদিস নং- ৩৮৪/দারুল কুতুব আলইলমিয়্যাহ বৈরুত]

সম্পূর্ণ দোয়া নবীজীর জন্য

তোফায়েল ইবনে উবাই ইবনে কা‘ব রাদি. তাঁর পিতা উবাই-এর বরাতে বর্ণনা করেন, রাতের এক তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হয়ে গেলে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম উঠে বলতেন, হে লোকসকল! "আল্লাহকে স্মরণ করো, আল্লাহকে স্মরণ করো। রাজিফা (শিঙ্গার-প্রথম ধ্বনি)এসে গেছে, (আসার সময় অতি নিকটবর্তী হয়ে পড়েছে) তারপরেই আসবে রাদিফা (শিঙ্গার দ্বিতীয় ধ্বনি)। মৃত্যু তার সকল ভয়াবহতা নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। মৃত্যু তার সকল ভয়াবহতা নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। “

হজরত উবাই রাদি বলেন, তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম আমি আপনার ওপর অধিক দুরুদ পাঠ করতে চাই। তাহলে আমি আমার দোয়ার কতটুকু সময় দুরুদের জন্য নির্ধারিত করব? তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম বললেন,

: তুমি যতটুকু চাও।

: চতুর্থাংশ?

: তুমি যতটুকু চাও। যদি আরো বৃদ্ধি কর, তা তোমার জন্যই কল্যাণকর।

: যদি অর্ধেক নেই?

: তুমি যতটুকু চাও। যদি আরো বৃদ্ধি কর- কল্যাণকর।

: যদি দুই তৃতীয়াংশ নেই?

: তুমি যতটুকু চাও। যদি আরো বৃদ্ধি করো- কল্যাণকর।

: যদি আমার মুনাজাতের পুরো সময় শুধু আপনার জন্যই দুরুদ পাঠ করি।

: তাহলে তো তোমার সকল দুশ্চিন্তা-পেরেশানির জন্য এটাই (দুরুদ পাঠ) যথেষ্ট হয়ে যাবে। এবং তোমার গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।

[সুনানে তিরমিযি হাদিস নং-২৪৫৭/ দারুল কুতুব আলইলমিয়্যাহ বৈরুত]

 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মস্ত চিঠির ক্ষুদ্র পত্র

“সকাল বেলার ধনীরে তুই ফকির সন্ধ্যা বেলা”

নববী জবানে দুরুদের ফাজায়েল ০১