আনন্দে যেন কলিজা ফেটে যায়
আনন্দে যেন কলিজা
ফেটে যায়
একটু চিন্তা করুন। আমার খুবই আন্তরিক সুসম্পর্ক—হৃদ্যতা রয়েছে এমন ব্যক্তি যদি আমাকে সালাম পাঠান,
সংবাদটি পাওয়ামাত্র আমার
অন্তর কেমন আনন্দিত হয়! এক ব্যক্তি নিজের সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে অনেক টাকা ঋণ
নিয়ে কোন দেশের ভিসা পাওয়ার জন্য প্রচুর দৌড়ঝাঁপ করতে করতে ক্লান্ত-আশাহত-ভগ্নহৃদয়।
ইতিমধ্যে হঠাৎ ঐ দেশের রাষ্ট্রদূত যদি তাকে ডেকে নিয়ে বলে আমাদের রাষ্ট্রপতি-বাদশাহ
আপনাকে দশবার সালাম বলেছেন এবং দাওয়াত দিয়েছেন।
একটু ভাবুন তো তখন ঐ ব্যক্তির মনের অবস্থা কেমন হবে? অথচ দুনিয়ার রাষ্ট্রপতি আর বাদশাহ স্থায়ী কোন
সম্পদের মালিক নন? তার ক্ষমতা সাময়িক
অস্থায়ী।
আহ! অপরদিকে, হজরত জিবরীল আমীন আ. হজরত আকায়ে মাদানী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলছেন, আপনি কি এতে সন্তুষ্ট নন যে, যে আপনার ওপর একবার সালাত পাঠাবে (দুরুদ পাঠ করবে) আল্লাহপাক তার ওপর দশবার সালাত পাঠাবেন অর্থাৎ রহমত নাজিল করবেন। যে আপনার প্রতি একবার সালাম পাঠাবে আল্লাহ তা'আলা তাকে নিজের পক্ষ থেকে দশবার সালামের সৌভাগ্য দান করবেন। [নাসাঈ—১২৯৭ দারুল কুতুব আল ইসলামিয়্যাহ বৈরুত]
সুবহানাল্লাহ! আল্লাহ রব্বুল আলামিনের সালাম। একবার নয়; প্রতিবার দুরুদ ও সালামের বিনিময় দশবার! এটা ভাবলেই
তো খুশিতে জান বের হয়ে আসে! কলিজা ফেটে যায়। আরো আছে! আরো আছে! হজরত আকায়ে মাদানী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবার পর্যন্ত আমাদের দুরুদ ও সালাম পৌঁছানো হয়।
তিনি জওয়াবও দান করেন।
সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জবান মোবারকে
আমরা উচ্চারিত হই! আমাদের জন্য— সালাম উচ্চারিত হয়।
আল্লাহু আকবার কাবিরা
উত্তরমুছুন