একটি বিশ্লেষণ

একটি বিশ্লেষণ

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাকে এবং আপনাদের সবাইকে দুরুদ শরীফ পাঠের আগ্রহ দান করুন। হজরত আকা মুহাম্মদ মাদানী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রকৃত ভালোবাসা দান করুন। হজরত উবাই ইবনে কা'ব রাদি. বর্ণিত হাদিছে ইরশাদ, “যে মুসলমান তার পূর্ণ দুরুদ হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য নির্ধারিত করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করে দিবেন এবং তার সকল দুশ্চিন্তা দূর করে দিবেন।” এই হাদিসের এক অর্থ হলআমরা নিজেদের দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা ও উন্নতির জন্য অধিক দুরুদ শরীফ পাঠের অভ্যাস করে নিব। দুরুদ শরীফ থেকে কখনো গাফেল হব না। তবে দুরুদ শরীফের পাশাপাশি কুরআনুল কারীমের তেলোওয়াত, কালিমায়ে তাইয়্যেবাহ, তাসবীহ, বিশেষভাবে মাসনুন দোয়াসমূহ, এবং কোন শায়েখের হাতে বাইয়াত হয়ে থাকলে শায়েখের দেয়া অজিফা গুরুত্বের সাথে আদায় করতে হবে।

তবে যদি কারো দুরুদ শরীফের প্রতি অধিক আগ্রহ-আন্তরিক ভালোবাসা-স্বভাবজাত প্রেরণা-দুরুদবিহীন সময় কাটাতে অজানা অস্থিরতা এই পর্যায় হাসিল হয়ে যায়, ভনিতা নয়; প্রকৃত অবস্থাই এমন হয় তখন অন্য সব নফল অজিফার স্থলেও দুরুদ শরীফ পাঠ করবে। যে কোন প্রয়োজন বা সমস্যায় যেমন বসবাসের স্থান, ছেলে-মেয়ের বিবাহশাদী, অসুস্থতা, শত্রু ও বিরোধীদের অনিষ্টতা থেকে মুক্তি, জায়েজ মামলা-মোকাদ্দমা, স্ত্রী-সন্তানদের দীনী তরবিয়াতসহ যে কোন প্রয়োজনে দুরুদ শরীফের অজিফা করতে থাকবে। ইত্যকার যে কোন প্রয়োজনে যিনি অন্য কোন মামুলাত-অজিফা আদায় করতেন তার জন্যেও পরিবর্তে দুরুদ শরীফের অজিফা আদায় করতে থাকা অপরিসীম উপকারী হবে। জীবনকে আরো নূরানী করবে। আল্লাহ তায়ালাই সর্বোত্তম জ্ঞানী। সর্ববিষয়ে সম্যক অবগত। আমি জাহেল। ভুল করাই আমার স্বভাব। আল্লাহ আপনি ক্ষমাশীল, দয়ালু। আমাকে ক্ষমা করুন। পাঠক বন্ধুকে ক্ষমা করুন। সারা দুনিয়ার সকল আশেককে ক্ষমা করুন। আমীন।

হজরত উবাই ইবনে কা‘ব রাদি.-এর হাদিসসমৃদ্ধ লেখাটির লিংক http://hanifalhadi.blogspot.com/2023/03/blog-post_24.html 

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

“সকাল বেলার ধনীরে তুই ফকির সন্ধ্যা বেলা”

দুরুদে সালাত শব্দ থাকা আবশ্যক সালামে থাকবে س ل م

দুটি রহস্যান্মোচন