আসসালামু আলাইকা আইউহান নাবীয়্যু
আসসালামু আলাইকা আইউহান নাবীয়্যু
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দীনের বুঝ দান করুন। একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বুঝে নিন। আমরা বলি,السلام عليك ايها النبي و رحمة الله و بركاته শব্দ হিসেবে যার অর্থ হয়- “আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে শান্তি ও নিরাপত্তা হোক আপনার ওপর হে নবী! এবং আল্লাহ তায়ালার রহমত ও আল্লাহ তায়ালার বরকত আপনার ওপর নাজিল হোক।” এই সালামে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে “মধ্যম পুরুষ”বাচক শব্দে সম্বোধন করা হয়েছে। যা সাধারণত সামনে উপস্থিত হওয়া একজন ব্যক্তির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে সাহাবায়ে কেরাম রাদি.কে এই সালাম শিখিয়েছেন। অথচ তিনি তো সবসময় তাদের সামনে থাকতেন না। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন জিহাদের সফরে মদীনার বাইরে তাশরিফ নিতেন সে সময় মদীনায় রয়ে যাওয়া সাহাবীগণ রাদি. ঐ শব্দ-ঐ বাক্যেই (মধ্যম পুরুষ, সম্বোধনপদ) সালাম পাঠ করতেন। আবার যখন সাহাবায়ে কেরামের কোন দল মদীনার বাইরে যেতেন আর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনাতেই অবস্থান করছেন, সে সময় সফররত সাহাবায়ে কেরাম রাদি.ও পড়তেন :-
السلام عليك ايها النبي و رحمة الله و بركاته
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিক্ষা ও সাহাবায়ে কেরামের আমল থেকে প্রতীয়মান হয়, সালামে ব্যবহৃত মধ্যম পুরুষ সম্বোধনপদটি (সিগায়ে হাজির) তাজিম-শ্রদ্ধা, মহব্বত, সম্মান প্রদর্শন ও হৃদয়ে-জাগ্রত-স্মৃতির জন্য ব্যবহৃত হয়েছে, তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সামনে উপস্থিত হয়ে যান- এ কথা বুঝানোর জন্য নয়। আমাদের মধ্যে সে যোগ্যতা সে
সৌভাগ্যই বা কোথায়?
একজন মুমিনের ঈমানের জন্য আবশ্যক হল, সে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্মরণ রাখবে। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা সম্মান অন্তরে বদ্ধমূল রাখবে এবং কাজেকর্মে প্রকাশও করবে। নিজেকে তাঁর নবুওয়াত ও রেসালাতের অধীন জ্ঞান করবে। এযাবৎ বিশ্লিষ্ট কারণেই হজরত সাহাবায়ে কেরাম রাদি.-এর যুগেও সালামের উত্তম পদ্ধতি ছিল এটি এবং আজও সালামের উত্তম পদ্ধতি এটিই। এতে মেরাজের রজনীতে আল্লাহ রব্বুল আলামীন যে “সালাম” দিয়েছিলেন তার অনুসরণও বিদ্যমান। আমরা নামাজেও পড়ি আর নামাজের বাইরেও নিজের জিকির বানিয়ে নেই-
السلام عليك ايها النبي و رحمة الله و بركاته
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন