সালামের পদ্ধতি ও অর্থ
সালামের পদ্ধতি ও অর্থ
আল্লাহ তায়ালা السلام আসসালামু। আসসালামু আল্লাহ তায়ালার মোবারক নামসমূহ থেকে একটি। এ নামের
অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ তায়ালার সত্তা, তাঁর গুণাবলি ও কার্যাবলি সব ধরনের বিপদ ও ত্রুটি থেকে মুক্ত, সহিহ-সালেম। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন যেন আমরা নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর সালাত ও সালাম পাঠ করি। প্রেরণ করি। সালাত প্রেরণের পদ্ধতি হল আমরা বলব, السلام عليك ايها النبي و
رحمة الله و بركاته অথবা বলব, اللهم سلم على سيدنا محمد তথা সমার্থক কোন শব্দ/ বাক্য।
السلام عليك ايها النبي বাক্যটি আরবী বাক্যকাঠামোর বিচারে যদিও সংবাদপ্রদানমূলক বাক্য। কিন্তু এখানে প্রার্থনা অর্থে ব্যবহৃত। সংবাদপ্রদানমূলক বাক্য দ্বারা প্রার্থনা করা- এটিও আরবী ব্যাকরণের একটি সিদ্ধ নিয়ম। এই প্রার্থনা বা দোয়ার “মর্ম” বিষয়ে তিনটি মত প্রসিদ্ধ।
১. السلام শব্দটি السلامة অর্থে
ব্যবহৃত। যার মর্ম দাঁড়ায়, আল্লাহ তায়ালা রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সকল বিপদ ও ত্রুটি থেকে নিরাপত্তা দান করেন।
২. السلام দ্বারা আল্লাহ তায়ালার সত্তাই উদ্দেশ্য। কেননা এটি আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নামসমূহের একটি। সে হিসেবে মর্ম হবে আল্লাহ তায়ালা যিনি আসসালাম তিনি সর্বদা রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিরাপত্তাদানকারী ও সাহায্যকারী।
৩. السلام অর্থ আত্মসমর্পণ করা, আনুগত্য করা। তাহলে মর্ম হবে, আল্লাহ তায়ালা বান্দাদেরকে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে আত্মসমর্পিত ও আনুগত্য প্রকাশকারী বানান।
এখন প্রশ্ন হতে পারে মেরাজের রজনীতে আল্লাহ তায়ালা নিজে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেছেন, السلام عليك ايها النبي বাক্যটি যদি দোয়া অর্থেই হয়ে থাকে আল্লাহ তায়ালা তো কারো নিকট প্রার্থনা করেন না, সেখানে অর্থ কী? উত্তর হচ্ছে- যখন বাক্যটি আল্লাহ তায়ালা বলেছেন তখন অর্থ হবে “হে নবী! আমি আপনাকে শান্তি ও নিরাপত্তা দান করেছি”।
এই বিশ্লেষণ দ্বারা জানা গেল, শান্তি ও নিরাপত্তা হজরত আকায়ে মাদানী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে নির্ধারিত। অতএব ওহে মানবমণ্ডলী! প্রকৃত শান্তি ও নিরাপত্তা যদি পেতে চাও হজরত আকায়ে মাদানী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের গোলাম হয়ে যাও।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন