রওজায়ে আকদাসে হাজিরির জন্য দোয়া করতে হয়
রওজায়ে
আকদাসে হাজিরির জন্য দোয়া করতে হয়
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে রওজায়ে আতহারে উপস্থিত হয়ে সালাম পেশ করার তাওফিক দান করুন। ইবনে আবি সাঈদ রহ. বর্ণনা করেন, আমি হজরত ওমর ইবনে আবদুল আজিজ রহ.-এর খেদমতে উপস্থিত হলাম। বিদায় গ্রহণকালে তিনি বললেন, তোমার নিকট আমার একটি প্রয়োজন রয়েছে। তুমি যখন মদীনা মুনাওয়ারাহ পৌঁছবে এবং রওজায়ে আকদাসে হাজির হবে তখন তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে আমার সালাম পেশ করিও। এক বর্ণনায় পাওয়া যায়, সাইয়্যেদুনা হজরত ওমর ইবনে আবদুল আজিজ রহ. রওজায়ে আকদাসে নিজ সালাম পেশ করার জন্য স্বতন্ত্র ঘোড়সাওয়ারী (পত্রবাহক) প্রেরণ করতেন। একটু চিন্তা করুন, কত ব্যাপক পরিমাণ ব্যয়, কত বেশি গুরুত্ব প্রদান আর কেমন ইশক! দুটি ঘটনাই হজরত ইবনুল কাইয়্যিম রহ. উদ্ধৃত করেছেন।
কয়েকটি আবেদন :
১. আমাদেরকে
যেমন সালাতের হুকুম করা হয়েছে তেমনই সালামেরও হুকুম করা হয়েছে। হজরত সাহাবায়ে কেরাম রাদি. প্রথমে সালাম শিখেছেন পরে সালাত শিখেছেন। নামাজের প্রত্যেক বৈঠকে তাশাহুদ পড়া ওয়াজিব। সালাম তাশাহুদের অংশ।
২. আলহামদুলিল্লাহ সকল
মুসলমান নামাজে সালাম পাঠ করে থাকেন। তবে উচিত হল নামাজের বাইরেও প্রচুর পরিমাণে সালাম পাঠের মাধ্যমে সমূহ উপকার লাভ করা।
৩. যারা
প্রতিনিয়ত নির্দিষ্ট পরিমাণ সালাত পাঠের আমল আদায় করেন তারা যেন সালামের আমল করার জন্য সালাতের পরিমাণে কোন হ্রাস না করেন বরং পূর্বের সালাতের সাথে সালাম বৃদ্ধি করে নিবেন। এতো এমন এক বিষয় যা হ্রাস করা যায় না। হ্রাস করা উচিত না। আল্লাহ তায়ালা আমাকে এবং আপনাদের সবাইকে “সালাত ও সালামের” কদর করার এবং বেশি থেকে বেশি ইবাদত হিসেবে আমল করার তাওফিক দান করুন। অকর্মন্য অপদার্থ এই অধম অনুবাদকও বাংলার পাঠকবর্গের দরবারে খাস দোয়ার মিনতি জনাচ্ছি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন