আলোকিত রজনী ও উজ্জ্বল দিবসের আলোকজ্জ্বলতার রহস্য

আলোকিত রজনী ও উজ্জ্বল

দিবসের আলোকজ্জ্বলতার রহস্য

আল্লাহ তায়ালার বিশেষ অনুগ্রহ তিনি ছয়দিন পর পর আমাদেরকে জুমাতুল মোবারকের নেয়ামত দান করেন। যেন আমরা তাওবা, আল্লাহর রহমত, আল্লাহর নৈকট্য আরো অধিক পরিমাণে পেতে পারি। আল্লাহ তায়ালার সবিশেষ অনুগ্রহ তিনি জুমা রাত ও দিনে দুরুদ শরীফের আমলের প্রতিদান-বিনিময় খুব বৃদ্ধি করে দেন। যারা দুরুদ শরীফের আমল অধিক পরিমাণে করে তাদেরকে জুমাতুল মোবারক লাভকারী-অর্জনকারী হিসেবে গণ্য করা হয়। নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম নিজেই ইরশাদ করেন:-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَكْثِرُوا الصَّلَاةَ عَلَيَّ فِي اللَّيْلَةِ الزَّهْرَاءِ وَالْيَوْمِ الْأَزْهَرِ، فَإِنَّ صَلَاتَكُمْ تُعْرَضُ عَلَيَّ

“আলোকিত রজনী ও উজ্জ্বল দিবসে আমার ওপর অধিক দুরুদ শরীফ পাঠ করো। নিশ্চয়ই তোমাদের দুরুদ আমার নিকট পেশ করা হয়।” [আল-মু‘জামুল আওসাত ৮৩/১]

এই হাদিসে জুমার রাতকে الليلة الزهراء এবং দিনকে اليوم الازهر বলা হয়েছে। হাদিস শরীফে দিনটিকে উজ্জ্বল, আলোকময় বিশেষণে বিশেষায়িত করা হয়েছে। الازهر শব্দটির অর্থে অভিধান লিখেছে- আলোকিত, আলোকময়, তাজা দুধ, সাদা রংয়ের দুধ, চাঁদ ইত্যাদি। জুমার দিনে এই সকল বিশেষণ বিদ্যমান। এই দিনে অন্ধকার দূরীভূত হয়। জ্ঞানের অন্ধকার, কলবের অন্ধকার, ভাগ্যের অন্ধকার, ফেতনার অন্ধকার- এ সকল অন্ধকার বিদূরিত করা এবং আলোকিত রজনী ও উজ্জ্বল দিবস লাভের সহজ ও শক্তিশালী অবলম্বন হল অধিক দুরুদ শরীফ।