নিরাপত্তা লাভের উপায়

-

নিরাপত্তা লাভের উপায়

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে সালামতি (নিরাপত্তা-নিশ্চয়তা) দান করুন। السلام علينا وعلى عباد الله الصالحين আমরা যদি আকায়ে মাদানী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের ওপর অধিক পরিমাণে “সালাত ও সালাম” পাঠ করতে থাকি- সুমহান অতিবিশাল “সালামতি” লাভ করব। এই যে প্রতিনিয়ত আমরা মন্দের দিকে যাচ্ছি, ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি, দীনী ক্ষতি-দুনিয়াবী ক্ষতি, চারদিকে জীবন যাপন সংকীর্ণ হয়ে আসছে, সবধরনের উপায়-উপকরণে অভাব দেখা দিচ্ছে- এই সার্বিক ক্ষতি থেকে সালামতি লাভের জন্য সালাত ও সালামের ব্যাপকতার পথে আসা উচিত। আমরা যখনই নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের ওপর সালাত ও সালাম পাঠাই আল্লাহ তায়ালা আমাদের ওপর সালামতির বর্ষণ চালু করে দেন এবং হজরত আকায়ে মাদানী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামও আমাদেরকে সালামতির দোয়া দিতে থাকেন। অতএব খুব মুহাব্বতের সাথে পড়ুন :-

السلام عليك ايها النبي و رحمة الله و بركاته

হাদিসের বর্ণনায় রয়েছে তিনটি জিনিসকে আল্লাহ তায়ালা অত্যন্ত শক্তিশালী শ্রবণক্ষমতা দান করেছেন। ১. জান্নাত ২. জাহান্নাম ৩. হুজুর আকদাস সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের রওজায়ে আতহারের উপর অবস্থানকারী একজন ফেরেশতা। তাই যখনই কোন বান্দা দোয়া করে হে আল্লাহ! আমাকে জান্নাত দান করুন اللهم انى اسالك الجنة সাথে সাথে জান্নাত শুনতে পায় এবং বলে ইয়া আল্লাহ! এই বান্দাকে আমার অভ্যন্তরে ঠিকানা দান করুন। যখনই কোন বান্দা দোয়া করে الهم اجرنا من النار হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করুন। সাথে সাথে জাহান্নাম শুনতে পায় এবং বলে ইয়া আল্লাহ! এই বান্দাকে আমার থেকে বাঁচিয়ে দিন। উম্মতের মধ্যে যে কেউ যখন রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের ওপর সালাম পাঠায় সাথে সাথে ঐ ফেরেশতা শুনতে পায় এবং সে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে সালাম পৌঁছিয়ে দেয়। বলে, উমুক সালাম পাঠিয়েছে। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম ঐ সালামের উত্তর প্রদান করেন।

আজকের দিনে মানুষের বানানো টেলিফোন একচেঞ্জ ও নেটসার্ভার একই সময়ে লাখো কল শনাক্ত করে পরবর্তী গেটওয়েটে পাঠিয়ে দিচ্ছে। তাহলে এই বিশ্বজগতের স্রষ্টা যাকে স্পেশাল শক্তিশালী শ্রবণশক্তি দান করেছেন সে কীরূপ শাক্তশালী হতে পারে! ফোন যদি মুহূর্তের মধ্যে আমাদের আওয়াজকে সৌদী আরব আর তুর্কিস্তানে পৌঁছে দিতে পারে তাহলে ঐ ফেরেশতা কত দ্রুত আমাদের সালাম পৌঁছিয়ে থাকে!

السلام عليك ايها النبي و رحمة الله و بركاته

    

মন্তব্যসমূহ

  1. সত্যের সন্ধানে, শওকত হুসাইন৮ মে, ২০২৩ এ ৮:৪১ AM

    সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সত্যিই দরুদ পাঠে হৃদয়ে প্রশান্তি অনুভব হয়।❤️

    উত্তরমুছুন
  2. হানিফ আল হাদী১২ মে, ২০২৩ এ ৮:৫৯ AM

    সালাত ও সালাম পাঠের পরিমাণ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধির চেষ্টা করি।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

“সকাল বেলার ধনীরে তুই ফকির সন্ধ্যা বেলা”

-
হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদি. বর্ণনা করেন, একদা আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খেদমতে উপস্থিত হলাম। হজরত ইমাম হুসাইন রাদি. (ছোট বয়সে) রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পিঠের উপর বসা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি দড়ি মুখে নিয়ে রেখেছেন। যার অপর প্রান্ত হুসাইন রাদি.-এর হাতে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাঁটুর উপর ভর করে (ঘোড়ার ন্যায়) হাঁটছেন। দৃশ্য দেখে আমি বললাম, ‘ওহে আবু আব্দুল্লাহ! (হুসাইন রাদি. উদ্দেশ্য) তোমার উটটি কতইনা উত্তম উট।’ শুনে রসুলে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘এই আরোহীও কতইনা উত্তম আরোহী।’  একদা হজরত হুসাইন রাদি.-এর দরবারে একজন সাহায্যপ্রার্থী আসল। : ‘হে রসুল দৌহিত্র! আমি গরিব মানুষ। পরিবারে সদস্যও বেশি। রাতের খাবার দান করবেন- এমন আশায় আপনার দরবারে এসেছি।’  : ‘কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। আমার খাবার আসছে।’ অল্পক্ষণ পর, আমিরে মুআবিয়া রাদি.-এর [সাহাবিয়ে রসুল ও কাতেবে ওহী হজরত আবু আবদুর রহমান মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান। হিজরতের ১৫ বৎসর পূর্বে (৬০৮ ঈ.) মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। হস্তলিপি ও গণিত শাস্ত্রে পাণ্ডিত্ব ...
আরও পড়ুন

দুরুদে সালাত শব্দ থাকা আবশ্যক সালামে থাকবে س ل م

-
  দুরুদে সালাত শব্দ থাকা আবশ্যক সালামে থাকবে س ل م আল্লাহ তায়ালা হুকুম করেছেন , صلوا عليه ( সল্লু আলাইহি )। হুজুর আকদাস সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম এই খোদায়ী ফরমান আদায়ের পদ্ধতি শিখিয়েছেন, তোমরা বল- " اللهم صل على محمد" ( আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ )। যদ্বারা প্রমাণ হয়, এই হুকুম আদায়ের জন্য صلاة   ( সালাত ) শব্দ থাকা ( শব্দের গঠন যেরূপই হোক- صل   / صلى ইত্যাদি )আবশ্যক। সুতরাং কেউ যদি اللهم عظم محمدا    ( সালাত শব্দের পরিবর্তে অনুরূপ অর্থ  প্রদানকারী যে কোন শব্দ )   বলে এ দ্বারা সালাতের হুকুম আদায় হবে না। যদিও সেটা নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের জন্য পৃথক একটা দোয়া হয়। وسلموا تسليما অর্থাৎ তোমরা এভাবে বলো, السلام عليك ايها النبى অথবা এরূপ সালামের অন্য কোন শব্দ। যেমন : اللهم سلم على محمد
আরও পড়ুন

দুটি রহস্যান্মোচন

-
  দুটি রহস্যান্মোচন আয়াতে কারিমায় “সালাত”কে আল্লাহ তায়ালা ও ফেরেশতাগণের সাথে সম্বন্ধযুক্ত করা হয়েছে; কিন্তু “সালাম”কে এরূপ করা হয়নি। আর ঈমানদারদেরকে উভয়টার (সালাত ও সালাম) হুকুম দেওয়া হয়েছে। ১. সালামের মধ্যে দুটি অর্থ বিদ্যমান। প্রথম, তাহিয়্যাহ-দোয়া ও মুহাব্বতের প্রকাশ। দ্বিতীয়, আনুগত্যের ঘোষণা। আমাদেরকে সালামের হুকুম দেওয়া হয়েছে। আমরা উভয় অর্থেরই মুহতাজ। উভয় অর্থই আমাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লামের প্রতি মুহাব্বত প্রকাশ করা এবং তাঁর আনুগত্যের ঘোষণা দেওয়া দুটিই আমাদের কর্তব্য। অপরদিকে, আল্লাহ তায়ালা ও ফেরেশতাগণের জন্য দ্বিতীয় অর্থ (আনুগত্যের ঘোষণা) ঠিক নয়। তাই মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন ও ফেরেশতাগণের সাথে সালামকে সম্বন্ধিত করা হয়নি। এই তাফসিরের ওপর একটি প্রশ্ন এই উঠতে পারে- কুরআনুল কারীমের অন্যত্র আল্লাহ তায়ালার সাথে সালামের সম্বন্ধ রয়েছে। যেমন : “সালামুন আলা ইবরাহিম”। প্রশ্নের দুটি উত্তর। ক. এখানে শুধু তাহিয়্যা অর্থে ব্যবহৃত। খ. আয়াত দ্বারা ঈমানদারদের হুকুম করা হয়েছে- তারা যেন ইবরাহিম আ.-এর ওপর সালাম পাঠায়। ২. “সালাত”-এর মধ্যে “তাহ...
আরও পড়ুন