বেহুদা বাত
( মুফতি ওবাইদুল হক দা.বা.-এর একটি বইয়ের ভূমিকা হিসেবে লেখা)
লোকটার কেরাতে আমার মতো পাপী মোকতাদীর চোখেও যদি পানি আসে; অন্যরা তাকে মেজাজী, ব্যবসায়ী, দুনিয়াদার যাই বলুক: আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি, কেরাত প্রণেতা মাওলায়ে পাকের সাথে তাঁর প্রাইভেট একটা রিলেশান আছে। তাই কাছে যাই। একটু সময় করে বসি। কথা শুনি। তিনি যা বলেন, তাই শুনি।
একদিন বললেন, ছয় বছর আগে আমি একটা বই লিখেছিলাম। “আল জামেয়া”তে কয়েক কিস্তি ছাপাও হয়েছিল। হঠাৎ ছাপা বন্ধ হয়ে গেল। সম্পাদক, সহসম্পাদক জানালেন, পাণ্ডুলিপির মাঝ থেকে সত্তর পৃষ্ঠা গাইব। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তারা পাচ্ছেন না। যতটুকু আছে দেখতে চাইলে- খুব আগ্রহ নিয়ে দেখালেন। ভাষা-সাহিত্য শিক্ষকতার সাথে জড়িত বলে, একজন লেখকের এই “আগ্রহ-পুলক”-এর সাথে আমি পূর্ব পরিচিত। মনে মনে ভাবলাম ...।
হুজুর জানালেন, কম্পোজ করিয়ে আল জামেয়াকে হার্ড ও সফট কপি দিয়েছিলেন। রহস্যজনকভাবে দুটোই একত্রে হারিয়েছে। মূল হাতের লেখাটা আছে। অল্প কিছু পাতা অবশ্য নেই। সব একত্র করে, হাতের লেখাও না থাকা অংশগুলো নতুন করে লিখে বই করার আবেদন জানালাম।
: আমার লেখা তো ছাপার উপযুক্ত না।
: উপযুক্ত, কম্পোজ, ছাপা আমি দেখব। আপনি শুরু করেন।
: তাই! পারবা!! মানুষ পড়বে আমার বই!!! এ বই মানুষের কোন কাজে লাগবে?
: পড়বে। লাগবে। সব হবে। আপনি শুরু করুন।
ঘটনার ছয় বছর পেরিয়ে গেছে। আল জামেয়ায় ছাপা আর বর্তমান প্রকাশের দূরত্ব এক যুগ। ঐ লেখা আর এ বই দুটোয় পরিবর্তনও বিস্তর। বর্তমান পাণ্ডুলিপিটা আদ্যোপান্ত আমি একাধিকবার পড়েছি। বিষয় এবং সমাজের সর্ব শ্রেণির মানুষের নিত্যকর্ম ও দৈনন্দিন জীবন যাত্রার এত কাছে যেয়ে, একেবারে তাদের মতো করে বলতে পারাটা আমাকে আকর্ষণ করেছে। বর্তমান বইয়ের বাজারের উল্টো স্রোতে নিজ রুচিবোধ তথা বাংলা হরফে আরবি উচ্চারণের এমন মমতাময়ী প্রচেষ্টা ইতোপূর্বে আমার গোচরীভূত হয়নি।
ইয়া আল্লাহ! হজরতের এ প্রচেষ্টা আপনি কবুল করুন। তাঁর নেক হায়াতে বরকত দান করুন। বিজ্ঞানের নিত্য-নতুন আবিষ্কৃত যোগাযোগ মাধ্যমের বিষক্রিয়ায় যখন চার বছরে ঢাকা সিটিতেই সাতাশ হাজার ত্বালাক হচ্ছে এবং কেমন যেন চক্রবৃদ্ধিহারে বাড়ছে তখন হজরতের এ বইকে আপনি মকবুলে আম করুন।
লোকটার কেরাতে আমার মতো পাপী মোকতাদীর চোখেও যদি পানি আসে; অন্যরা তাকে মেজাজী, ব্যবসায়ী, দুনিয়াদার যাই বলুক: আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি, কেরাত প্রণেতা মাওলায়ে পাকের সাথে তাঁর প্রাইভেট একটা রিলেশান আছে। তাই কাছে যাই। একটু সময় করে বসি। কথা শুনি। তিনি যা বলেন, তাই শুনি।
একদিন বললেন, ছয় বছর আগে আমি একটা বই লিখেছিলাম। “আল জামেয়া”তে কয়েক কিস্তি ছাপাও হয়েছিল। হঠাৎ ছাপা বন্ধ হয়ে গেল। সম্পাদক, সহসম্পাদক জানালেন, পাণ্ডুলিপির মাঝ থেকে সত্তর পৃষ্ঠা গাইব। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তারা পাচ্ছেন না। যতটুকু আছে দেখতে চাইলে- খুব আগ্রহ নিয়ে দেখালেন। ভাষা-সাহিত্য শিক্ষকতার সাথে জড়িত বলে, একজন লেখকের এই “আগ্রহ-পুলক”-এর সাথে আমি পূর্ব পরিচিত। মনে মনে ভাবলাম ...।
হুজুর জানালেন, কম্পোজ করিয়ে আল জামেয়াকে হার্ড ও সফট কপি দিয়েছিলেন। রহস্যজনকভাবে দুটোই একত্রে হারিয়েছে। মূল হাতের লেখাটা আছে। অল্প কিছু পাতা অবশ্য নেই। সব একত্র করে, হাতের লেখাও না থাকা অংশগুলো নতুন করে লিখে বই করার আবেদন জানালাম।
: আমার লেখা তো ছাপার উপযুক্ত না।
: উপযুক্ত, কম্পোজ, ছাপা আমি দেখব। আপনি শুরু করেন।
: তাই! পারবা!! মানুষ পড়বে আমার বই!!! এ বই মানুষের কোন কাজে লাগবে?
: পড়বে। লাগবে। সব হবে। আপনি শুরু করুন।
ঘটনার ছয় বছর পেরিয়ে গেছে। আল জামেয়ায় ছাপা আর বর্তমান প্রকাশের দূরত্ব এক যুগ। ঐ লেখা আর এ বই দুটোয় পরিবর্তনও বিস্তর। বর্তমান পাণ্ডুলিপিটা আদ্যোপান্ত আমি একাধিকবার পড়েছি। বিষয় এবং সমাজের সর্ব শ্রেণির মানুষের নিত্যকর্ম ও দৈনন্দিন জীবন যাত্রার এত কাছে যেয়ে, একেবারে তাদের মতো করে বলতে পারাটা আমাকে আকর্ষণ করেছে। বর্তমান বইয়ের বাজারের উল্টো স্রোতে নিজ রুচিবোধ তথা বাংলা হরফে আরবি উচ্চারণের এমন মমতাময়ী প্রচেষ্টা ইতোপূর্বে আমার গোচরীভূত হয়নি।
ইয়া আল্লাহ! হজরতের এ প্রচেষ্টা আপনি কবুল করুন। তাঁর নেক হায়াতে বরকত দান করুন। বিজ্ঞানের নিত্য-নতুন আবিষ্কৃত যোগাযোগ মাধ্যমের বিষক্রিয়ায় যখন চার বছরে ঢাকা সিটিতেই সাতাশ হাজার ত্বালাক হচ্ছে এবং কেমন যেন চক্রবৃদ্ধিহারে বাড়ছে তখন হজরতের এ বইকে আপনি মকবুলে আম করুন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন