জামি‘আতুল আশরাফ ঢাকা-এর পরিচিতি হিসেবে লেখা
নভোমণ্ডল- ভূমণ্ডল, আকাশ-মাটি, সৌরজগৎ-মহাশূন্য কিছুই যখন ছিল না; তিনি ছিলেন। যেমন আছেন। যেমন থাকবেন। একদা কুদরতের দরিয়ায় একটা ঢেউ ওঠল। অসীম সৃষ্টি ক্ষমতা প্রকাশ অপেক্ষায় দোল খেল। ‘কুন’-এর মালিক বললেন, ‘কুন’; মহাশূন্য-মহাকাশ-নভো-ভূমণ্ডল ‘ফাইয়াকুন’। বললেন, হও; হয়ে গেল সব। ঘোষণা করলেন, আমি জমিনে আমার খলিফা পাঠাব। ফেরেশতারা বলল, প্রভু হে! কী দরকার ওদের? ফ্যাসাদ সৃষ্টি করবে। তোমার ইবাদত আমরাই তো করছি। বললেন, ‘আমি যা জানি তোমরা তা জান না’। তিনি কী জানেন? তিনিই জানেন। আমরা জানি না। শুধু জানি, ইবাদত-মা‘রিফাত, দাসত্ব-পরিচয় লাভ; এ জন্যই মোদের সৃষ্টি করা হয়েছে।
আমরা দুর্বল। আছে নফস-শয়তান। প্রবঞ্চনা-ধোঁকা দেয়, বিপথগামী করে। নিয়ে যায় ভ্রান্ত পথে। সতর্ক করতে পাঠালেন নবী-রসুল। পূর্ণ সমর্পিত, সর্বান্ত অনুগত মহামানবগণ দায়িত্ব আদায় করলেন পুঙ্খানুপুঙ্খ। প্রথম মানুষই প্রথম নবী। প্রথম দিশারী। রিসালাতের প্রথম ইট। নবী চলে যান, অনুসারীরা ছেড়ে দেয় অনুসরণ। আবার নবী আসেন, আঁধার কাটে। আগমন-প্রস্থানের ধারাবাহিকতায় ছাদ হয়ে এলেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ‘আনা খাতামুন নাবীয়্যিন লা নাবীয়্যা বা‘দি’ ঘোষণা দিয়ে তিনিও চলে গেলেন মাকামে মাহমুদার দিকে।
দুর্বল মানুষকে নফস-শয়তানের প্রবঞ্চনা-ধোঁকা থেকে বাঁচাতে রেখে গেলেন ‘আলউলামাউ ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া’। আলেমরা নবীগণের উত্তরসূরি। নবীর অবর্তমানে বিপথগামী মানবকে ভ্রান্ত পথ থেকে ফিরিয়ে সরল-সঠিক পূন্যের পথে টেনে ইবাদত-মা‘রিফাত, দাসত্ব-পরিচয় লাভের পন্থা দেখিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব উত্তরসূরির। দায়িত্ব সচেতন, আমানতদার একদল উত্তরসূরি তৈরির মহান লক্ষ্যে মাদানী নেসাব ও দরসে নেজামীর সমন্বয়ে ইলম-আমল-তাফাক্কুহ ফিদ্দীন অর্জনের ঐকান্তিক প্রয়াস জামি‘আতুল আশরাফ ঢাকা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন